কুরআনে বর্ণিত ৪০ রাব্বানা দোয়া সমূহ
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
‘নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার কাছে কিছু চায় না বা প্রার্থনা করে না;
আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির প্রতি রাগান্বিত হন বা অভিশাপ দেন।’
(তিরমিজি শরীফ)

👉 রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাত ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতাউ ওয়াক্বিনা অ্বাজাবান্নার।

অর্থ: হে পরওয়ারদেগার! আমাদিগকে দুনিয়াতেও কল্যাণ দান কর এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাদিগকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর। (সুরা বাক্বারাহ ২:২০১)
ফযিলত
- 1. পৃথিবীতে শান্তি ও কল্যাণ।
- 2. আখিরাতে সফলতা ও বেহেশত।
- 3. জীবনের কষ্টের মোকাবেলা এবং ধৈর্য বৃদ্ধি।
- 4. অর্থনৈতিক সফলতা এবং সামাজিক শান্তি।
- 5. আল্লাহর নিকট ঘনিষ্ঠতা এবং দয়া।
- 6. পরিবারের মধ্যে শান্তি এবং একতা।
👉 রাব্বানা জালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগ্বফির লানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাছিরীন।

অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা আমরা নিজেদের প্রতি জুলম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব। (সুরা অ্বারাফ ৭:২৩)
ফযিলত:
- 1. আল্লাহর ক্ষমা ও রহমত লাভ।
- 2. জীবনে শান্তি এবং সুখ লাভ।
- 3. বিপদ ও সংকট থেকে মুক্তি।
- 4. আখিরাতে সফলতা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি।
Web Tech Info Bangla এর নির্বাচিত পোস্টসমুহ :

👉 রাব্বানা লা তুজিগ্ব ক্বুলুবানা বা'দা ইজ হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিন লাদুনকা রাহমাতান, ইন্নাকা আনতাল ওয়াহ্হাব।

অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্যলংঘনে প্রবৃত্ত করোনা এবং তোমার নিকট থেকে আমাদিগকে অনুগ্রহ দান কর। তুমিই সব কিছুর দাতা। (সুরা আল-ইমরান ৩:৮)
ফযিলত:
- 1. হেদায়াতের সংরক্ষণ ও স্থিতিশীলতা।
- 2. আল্লাহর রহমত ও দয়ার প্রাপ্তি।
- 3. মুসলিম জীবনে উন্নতি ও সাফল্য।
- 4. বিশ্বাসের শক্তি বৃদ্ধি এবং ঈমানের দৃঢ়তা।
👉 রাব্বানা হাবলানা মিন আজ ওয়াজিনা ওয়া জুররিই ইয়াতিনা ক্বুররাতা আঅ্ব ইয়ুনিউ ওয়াজঅ্বালনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা।

অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান করো এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ করো । ( সুরা ফুরকান ২৬:৭৪ )
ফযিলত:
- 1. পরিবারে শান্তি এবং প্রশান্তি স্থাপন।
- 2. সন্তানদের জীবনে আল্লাহর রহমত ও হেদায়াত প্রদান।
- 3. আধ্যাত্মিক উন্নতি এবং ঈমান শক্তিশালী হওয়া।
- 4. সন্তানদের জীবনে নৈতিকতা এবং পরহেজগারি বৃদ্ধি।
👉 রাব্বানা ওয়ায-আলনা মুসলিমাইনা লাকা ওয়া মিন জুররিয়াতিনা উম্মাতান মুসলিমাতাল লাকা ওয়া আরিনা মানাসিকানা ওয়া তুব আলাইনা ইন্নাকা আন্তাত-তাউয়াবুর-রাহীম

অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদেরকে আপনার উপর আজ্ঞাবহ করুণ এবং আমাদের বংশধর থেকেও একটি অনুগত জাতি সৃষ্টি করুণ, আমাদেরকে সঠিকভাবে ইবাদত করার পথ বলে দিন। আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয়ই আপনিই একমাত্র তওবা কবুলকারী! পরমদয়ালু!
ফযিলত:
- 1. মুসলিম উম্মাহর মধ্যে শান্তি এবং ঐক্য প্রতিষ্ঠা।
- 2. আল্লাহর কাছে তওবা চাওয়া এবং পাপ মাফ হওয়া।
- 3. সন্তানদের সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা এবং ঈমানী দৃঢ়তা।
- 4. ঈমান এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি লাভ।
👉 রাব্বানা তাকাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আংতাস সামিউল আলীম

অর্থ: পরওয়ারদেগার! আমাদের থেকে কবুল করো । নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ ।
ফযিলত:
- 1. আল্লাহর কাছে কাজের গ্রহণযোগ্যতা।
- 2. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।
- 3. পাপ মাফ এবং পুণ্য অর্জন।
- 4. ধর্মীয় জীবনের উন্নতি এবং উৎকর্ষ।
👉 রাব্বানা লা তু আ-খিজনা ইন-নাসিনা আও আখত্বোনা; রাব্বানা ওয়া লা ত্যাহমিল আলাঈনা ঈসরান কামা হ্যামালতাহু আলাল্লাযীনা মিন ক্যাবলিনা; রাব্বানা ওয়া লা তুহ্যাম্মিলনা মা লা ত্বোক্যাতা লানাবিহি; ওয়্য়াফু আন্না ওয়াগফির লানা ওয়ার হ্যামনা, আন্তা মাওলানা ফানসুরনা আলাল কাওমীল কাফিরীন

অর্থ:হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। আমাদের আগেকার লোকদের উপর যেমন ভারী বোঝা দিয়েছিলেন, আমাদের উপর তেমন ভারী বোঝা দিয়েন না প্রভু। যে বোঝার ভার বইবার সামর্থ্য আমাদের নেই , সে-ই বোঝা চাপিয়ে দিয়েন না প্রভু। আমাদের অপরাধগুলো মাফ করে দিন। আমাদের পাপগুলো গোপন করে দিন। আমাদের দয়া করুন প্রভু। আপনিই তো আমাদের রক্ষাকর্তা। তাই অবিশ্বাসী লোকগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করুন।” [ সুরা বাক্বারাহ ২:২৮৬ ]
👉 রাব্বানা ওয়ালা তাহ-মিল আলাইনা ইসরান কামা হামাল-তাহু আলাল-লাযীনা মিন কাবলিনা

অর্থ:
হে আল্লাহ! আমাদের উপর এমন গুরু দায়িত্ব চাপিয়ে দিওনা, যেমনটি আমাদের পূর্বগণের উপরে দিয়েছ।
[ সূরা আল-বাক্বারাহ, আয়াতঃ ২৮৬ ]
ফযিলত:
১। সূরা আল-বাকারার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ শেষ দুই আয়াত এর দ্বিতীয় আয়াত।
২। আল্লাহ্র রাসুল আল্লাহ্ পক্ষ থেকে তাঁর কাছে যা পাঠানো হয়েছে তাতে বিশ্বাস করতেন এবং মুমিনগণও তাই করতেন। সকল মুমিনই আল্লাহ্, আল্লাহ্র রাসুল, ফেরেসেতা, আসমানি কিতাব এবং প্রেরিত রাসুলদেরকে বিশ্বাস করতেন।
তাঁরা বলেন, আল্লাহ্র প্রেরিত রাসুলদের মধে আমরা কোন ভেদাভেদ করিনা। আমরা শুনি এবং সেই অনুযায়ী কাজ করি। এ জন্যেই আমরা যদি এসব কোন বিষয়ে ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তাঁর জন্যে আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চেয়ে দোয়া করতে হবে।
👉 রাব্বানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মা লা তকাতা লানা বিহি ওয়া-ফু আন্না ওয়াঘফির লানা ওয়াইরহামনা আন্তা মাওলানা ফানসুরনা আলাল-কওমিল কাফিরীন

অর্থ: হে রাব্বুল আলামিন! আমাদের উপর এমন গুরু দায়িত্ব চাপিয়ে দিওনা যার ভার আমরা সইতে পারবনা। আমাদেরকে মাফ করুন এবং আমাদের ক্ষমা কবুল করুন। আমাদেরকে দয়া করুন। তুমিই আমাদের প্রভু এবং আমাদেরকে কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জয়ী করে তোল।[ সূরা আল-বাক্বারাহ, আয়াতঃ ২৮৬ ]
ফযিলত
👉 রাব্বানা ইন্নাকা জামিয়ুননাসি লিয়াওমিল লারাইবা ফিইহি ইন্না আল্লাহা লা ইউখলিফুল মিয়াদ।

অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা! তুমি মানুষকে একদিন অবশ্যই একত্রিত করবে, এতে কোনই সন্দেহ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর ওয়াদার অন্যথা করেন না।
[সুরা ইমরান ৯]
রাব্বানা-১১
👉 রাব্বানা ইন্নানা আমান্না ফাঘফির লানা যুনুবানা ওয়াকিনা আযাবান-নার

অর্থ: হে আল্লাহ! আমরা ঈমান এনেছি, দয়া করে আমাদের গুনাহ মাফ করে দিন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন।
। 👉 রাব্বানা ওয়া আতিনা মা ওয়া'আততানা আলা রুসুলিকা ওয়ালা তুখযিনা ইয়াওমাল-কিয়ামাহ ইন্নাকা লা তুখলিফুল মি-আদ

অর্থ: হে আল্লাহ্! আপনি রাসুলগনের মাধ্যমে আমাদের কাছে যে ওয়াদা করেছিলেন তা কবুল করুন। এবং কিয়ামতের দিন আমাদের লজ্জিত করো না। নিশ্চয়ই তুমি ভঙ্গ করোনা অঙ্গীকার!
👉 রাব্বানা আনযিল আলাইনা মা'ইদাতাম মিনাস-সামাই তুকনু লানা ইদাল লি-আওয়া-লিনা ওয়া আখিরনা ওয়া আয়াতাম-মিনকা ওয়ার-যুকনা ওয়া আন্তা খায়রুল-রাযিকীন

অর্থ: হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের জন্য জান্নাত থেকে আহারের ব্যবস্থা করুন, যা আমাদের এবং আমাদের পরবর্তী সবার জন্যই আনন্দের হবে। এবং এটি আপনার পক্ষ থেকে একটা নিদর্শন হয়ে থাকবে। আপনি আমাদের রোজগারের ব্যবস্থা করে দিন, আপনিই শ্রেষ্ঠ রুযী দাতা।
👉 রাব্বানা ইন্নাকা মান তুদখিলিন নারা ফাকাদ আখযাইতাহ ওয়া মা লিয-যালিমীনা ওয়া মা লিয-যালিমীনা মিন আনসার।

অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি তাকেই জাহান্নামে প্রেরন করবেন, যার উপর আপনি নাখোশ হবেন। এবং জালিম ও সত্যের পথ ভ্রষ্টরা আপনার করুনা পাবেনা।
। 👉 রাব্বানা ইন্নানা সামি'না মুনাদিয়ান-ইউনাদি লিল-ইমানি আন আমিনু বি রাব্বিকুম ফা'আমান্না

অর্থ: হে রাব্বুল আলামিন! সত্যিই আমরা "আল্লাহ্র উপর বিশ্বাস" এর ডাকে সাড়া দিয়েছি এবং ঈমান এনেছি।
👉রাব্বানা মা খালাকতা হাযা বাতিলান ছুবহানাকা ফাকিনা আযাবান্নার

অর্থ:হে মাবুদ, এসবের কিছুই তুমি অনর্থক সৃষ্টি কর নাই-তুমিই পূত-পবিত্র; অতএব অগ্নি হইতে আমাদের বাঁচাও।
রাব্বানা-১৭
👉 রাব্বানাগ ফিরলানা যুনুবানা ওয়া ইসরাফানা ফী আমরিনা ওয়া ছাব্বিত আক্কদামানা ওয়ানছুরনা আলাল কাওমিল ক্বাফিরীন।
(সূরা আল ইমরান, আয়াতঃ ১৪৭)

অর্থ:হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের গুনাহ এবং কোন কাজের সীমা লঙ্ঘনকে তুমি ক্ষমা কর, আমাদের ঈমান দৃঢ় রাখ এবং কাফেরদের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয়ী কর।]
👉 রাব্বানা আমান্না বিমা আনযালতা ওয়াত্তাবা নার-রুসুলা ফাক-তুবনা মা'স-শাহিদীন সূরা আল-ইমরান, আয়াতঃ ৫৩

অর্থ:হে রাব্বুল আলামিন! আমারা তোমার নাযিল করা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছি এবং তোমার রাসুলের দেখানো পথে চলার চেষ্টা করি! দয়া করে আমাদেরকে তোমার হুকুম পালনকারীদের সারিতে রাখুন।
👉 রাব্বানা লা তায-আলনা ফিতনাতাল লিল-কাওমিয- যালিমীন ওয়া নাযযিনা বি-রাহমাতিকা মিনাল কাওমিল কাফিরীন

অর্থ:হে আল্লাহ্! আমাদেরকে জালিম এবং পথভ্রষ্ট কওমের শক্তি পরিক্ষা করিও না। এবং আমাদেরকে জালিম ও কাফেরদের হাত থেকে রক্ষা করো।
👉 আল্লাহুম্মাকফিনী বি হা'লালিকা আ'ন হা'রামিকা ওয়া আগনিনী বিফাদলিকা আ’ম্মান সিওয়াক।

অর্থ:হে আল্লাহ! হারামের পরিবর্তে আপনার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করে দিন। আর আপনাকে ছাড়া আমাকে কারো মুখাপেক্ষী করবেন না । স্বীয় অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে স্বচ্ছলতা দান করুন। (তিরমিযি ৩৫৬৩)।
। 👉 আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হামমি ওয়াল হুজনি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজযি ওয়াল কাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি, ওয়া আউজুবিকা মিন গলাবাতিদ দাইনি ওয়া কহরির রিজাল।

অর্থ:হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা থেকে আশ্রয় চাই। আমি আশ্রয় চাই অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, আপনার কাছে আশ্রয় চাই ভীরুতা ও কার্পণ্য হতে, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই ঋণের বোঝা ও মানুষের রোষানল থেকে’।
👉সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া
"রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা" (হে আমাদের রব, দুনিয়াতে কল্যাণ দাও): এর মাধ্যমে দুনিয়ার সকল প্রকার মঙ্গল, রিজিক, সুস্থতা, জ্ঞান ও অন্যান্য বৈধ চাহিদা পূরণ করার জন্য প্রার্থনা করা হয়।
"ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা" (আখেরাতেও কল্যাণ দাও): এর অর্থ হলো পরকালের শান্তি, সফলতা, জান্নাত লাভ এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের প্রার্থনা করা।
"ওয়াকিনা আজাবান্নার" (এবং আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করো): এই অংশে আল্লাহর কাছে জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি ও পরিত্রাণের জন্য মিনতি করা হয়।
এই দোয়াটি কোরআনে বর্ণিত এবং নবীজি (সা.) এটি নিয়মিত পাঠ করতেন বলে হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে, যা এটিকে সর্বোত্তম দোয়ায় পরিণত করে।
0 Comments