Visit Youtube Visit Our Youtube Channel!
Latest Post:👉
Loading......Wait...... Please..........

শিশুর আদর-যত্ন (পর্ব-১) অজান্তে আপনার সন্তানের ক্ষতি করছেন না তো !

শিশুর আদর-যত্ন

একটি শিশু বড় হলে কেমন হবে তার ভিত্তি তৈরির জন্য তিন থেকে ছয় বছর বয়স খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওরা দরকার অদরকার বোঝে না। চাই মানে চাই ই ! কিছু বাচ্চা এত আবদার করে যে তার জন্য সে যা খুশী করতে পারে। 


তাই,  যে সব শিশু আদর-যত্নে নতুন নতুন খেলনা দিয়ে ভরা থাকে, দেখা গিয়েছে তারা আনন্দে থাকে, তাদের মন থাকে চনমনে। কিন্তু যেসব শিশুদের আপনি সব কাজে বাঁধা দেন, এড়িয়ে চলেন, তারা বেড়ে ওঠে  হতাশায়, হয় খুব খিটখিটে, দিশেহারা, তারা সহজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। 

একটি শিশুর ওজন জন্মের পর ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে দ্বিগুণ হবে এবং তার প্রথম জন্মদিনে তিনগুণ হবে। এটা হচ্ছে বাচ্চার ওয়েট গেইনের স্তর বা মাইলস্টোন। 

অর্থাৎ একটি  শিশু ভূমিষ্ঠের পর প্রথম সপ্তাহে ওজন কমে এবং দু-তিন সপ্তাহে ওজন স্থির থাকে। এরপর ওজন  ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।

 একটি শিশু  প্রথম তিন মাসে প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০ গ্রাম করে ওজন বাড়ে। পরবর্তী মাসগুলোতে আরেকটু কম হারে ওজন বাড়তে থাকে, ৩-১২ মাস বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে ৪০ গ্রাম ওজন বাড়ে। ৬ মাস বয়সে শিশুর ওজন জন্মের সময়ের ওজনের দ্বিগুণ হয়, এক বছরে ৩ গুণ, দুই বছরে ৪ গুণ, তিন বছরে ৫ গুণ, পাঁচ বছরে ৬ গুণ হয়।

 তবে জন্ম–ওজনের পার্থক্যের কারণে একই বয়সী দুটি শিশুর ওজনের কিছু তারতম্য ঘটতে পারে। তবে  সঠিক পরিচর্যা ও পুষ্টি পেলে আবার স্বাভাবিক ওজনে পৌঁছে যায়। 

এই সময়ে  বয়সের সঙ্গে শিশুর ওজন আর উচ্চতা ঠিক আছে কি না, সেটা খেয়াল রাখার পাশাপাশি  শিশুকে যেমনি  আদর-যত্নে বড় করে তুলতে হয়, তেমনই তার মনেরও খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। শিশুমন অত্যন্ত নরম। সেখানে কোনও ভাবে আঘাত লাগলে তা ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই শিশুকে কী বলবেন, কী ভাবে বলবেন, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা জরুরি বৈকি।


অনেক সময় ছোট ছেলে-মেয়েরা অনেক কিছুর জন্য বায়না করে, যা তাদের তখনই দেওয়া সম্ভব হয় না। এই সব ক্ষেত্রে সরাসরি 'না' বলবেন না। যে কোনওরকম নেগেটিভ শব্দ শিশুমনে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। সরাসরি 'না' না বলে আর যে ভাবে শিশুর মনকে অন্যদিকে ঘোরাতে পারবেন, তা দেখে নিন।


এক.

যদি আপনার মনে হয় যে আপনার শিশু যা চাইছে তা তাকে দেওয়া যেতেই পারে তবে এখনই নয়, তাহলে তাকে বলুন, 'হ্যাঁ তুমি এটা পাবে তবে পরে'। যেমন, 'আগে স্কুলের ব্যাগ গুছিয়ে নাও, তারপরে ক্যান্ডি পাবে।' তাই শিশুর আদর-যত্নের ব্যাপারে একটু সচেতন হন । 


শিশুর আদর-যত্ন

দুই.

অনেক সময় ছোট ছেলে-মেয়েরা খুব জেদি হয়ে যায়। তারা যেটা চাইছে, তখনই না পেলে কান্নাকাটি শুরু করে। চাই মানে চাই ই !  তাদের তখন 'না' না বলে বরং তাদের মন অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করুন। অন্য কথা বলে বা অন্য কিছু দেখিয়ে তাদের মন অন্যদিকে ব্যস্ত করে দিন। সুতরাং  শিশুর আদর-যত্নের ব্যাপারে একটু কৌশলী হওয়া প্রয়োজন  ।


তিন.

অনেক সময় ছোট ছেলেমেয়েরা ছুরি-কাঁচি বা অন্য কোনও বিপজ্জনক বস্তু নিয়ে খেলার বায়না করে।  সেক্ষেত্রে তাদের অন্য কোনও খেলনা দিয়ে ভোলানো চেষ্টা করুন। তাদের বলুন যে ছুরি-কাঁচি না নিয়ে তুমি বরং এটা নিয়ে খেলো ! । সেই খেলায় আপনিও তার সঙ্গে যোগ দিন। খেলা জমে উঠলে বায়না ভুলতে শিশুর সময় লাগবে না।  অতএব   শিশুর আদর-যত্নের পাশাপাশি এদিকটাতেও  সতর্কতার সাথে খেয়াল রাখুন । 



শিশুর আবেগ পড়তে শিখুন-

  প্রত্যেক বাবা মায়ের শিশুর আবেগ পড়তে শেখা উচিত । ১ থেকে ৩  বছরের শিশুরা সহজেই তাদের আবেগ দেখাতে পারে। আপনার কাজ তাকে লক্ষ্য রাখা। 


 শিশুকে নতুন নতুন কাজ শেখান- 

আপনি আপনার শিশুকে নতুন কিছু করতে উৎসাহ দিন, আপনি তার কাজে সহযোগিতা করুন। এবং তাকে শেখান ধৈর্যের সঙ্গে কীভাবে কোনও কাজ করতে হয়।  তা আপনি আপনার শিশুকে আদর-যত্নের সহিত শেখাতে পারেন । 


শিশুর আদর-যত্ন

উপহার দিন- 

 মাঝে মধ্যে  তাকে ছোট ছোট উপহার দিন, তাহলে দেখবেন সে খুশি এবং  উৎসাহ পাবে । এটিও  আপনার  শিশুর আদর-যত্নে সহায়ক হিসাবে কাজ করবে । 


তাদের রাগতে, ও কাঁদতে দিন- 

  শিশুর আদর-যত্নের পাশাপাশি বাবা মার দুজনেরই  উচিত শিশুর আবেগ চিনে নেওয়া। কখন সে কাঁদছে, বা কোন কোন সময় কীসের অভাবে তা মধ্যে বিরক্তি তৈরি হচ্ছে দেখুন। তাদের নিজের আবেগকে নিজে চিনে নিতে দিন, দেখবেন ধীরে ধীরে তার রাগ কমছে। 


 



Frequently Asked Questions (FAQ)


প্রস্নঃ- শিশুরা বা বাচ্চারা কত মাসে উপুড় হয় ? 

উত্তরঃ- সাধারণত  ছয় মাস বয়সে শিশুরা চিত থেকে উপুড় বা উপুড় থেকে চিত হতে পারে। পেছনে সাপোর্ট বা ঠেকা দিয়ে অল্প সময়ের জন্য বসতে পারে। কিছু বাচ্চা সাপোর্ট ছাড়াও বসতে পারবে, তবে এতে ৯ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই না বসতে পারলেও চিন্তার কিছু নেই। 


প্রস্নঃ- একটি শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ সঠিক ভাবে হচ্ছে কিনা কিভাবে বুঝবেন ? 


উত্তরঃ- বয়স অনুযায়ী শিশুর যেভাবে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার কথা (শারীরিক ও মানসিকভাবে), সেই দক্ষতাগুলোও কিন্তু   ঐ বয়সের মধ্যেই অর্জন করার কথা । কারন  শিশুর বিকাশ একটি চলমান প্রসেস।
বিকাশের স্তর  অনুযায়ী শিশু একেকটা বয়সে একেকটা কাজ করবে আর এটাই স্বাভাবিক । আর এটা থেকেই বোঝা যাবে যে শিশু স্বাভাবিক ও সঠিকভাবে বেড়ে উঠছে। যেমন- একটি শিশুর ওজন জন্মের পর ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে দ্বিগুণ হবে এবং তার প্রথম জন্মদিনে তিনগুণ হবে। এটা হচ্ছে বাচ্চার ওয়েট গেইনের মাইলস্টোন।

✅ আশা করি,
এরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের

"Web Tech Info ব্লগ সাইটটি"

Follow দিয়ে রাখুন অথবা হোম পেজটি বুকমার্ক করে রাখতে পারেন।

Admin Photo Admin পরিচিতি

জাকির হোসেন একজন প্রযুক্তি বিষয়ক ব্লগার, কনটেন্ট নির্মাতা ও ওয়েব ডেভেলপার। তিনি প্রযুক্তি, অনলাইন আয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা, ব্লগিং এবং এসইও বিষয়ক লেখা নিয়ে ZakirZone.com ব্লগ পরিচালনা করছেন ২০১৫ সাল থেকে।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: Web Tech Info এর পক্ষে Md Zakir Hossain
  • অভিজ্ঞতা: ১০+ বছর ব্লগিং ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টে
  • লক্ষ্য: বাংলাভাষী পাঠকদের জন্য মানসম্মত প্রযুক্তিগত কনটেন্ট সরবরাহ করা

📧 যোগাযোগ: contact@zakirzone.com
🌐 ওয়েবসাইট: www.zakirzone.com


🎯 আমার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে 💚 নতুন কিছু শেখা এবং সেই জ্ঞান অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করা। আমি বিশ্বাস করি, শেখার কোনো শেষ নেই — আর তথ্য শেয়ার করার মাধ্যমে আমরা একে অপরের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারি।

আমার অভিজ্ঞতা ও আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে আমি ZakirZone.com ব্লগটিকে একটি তথ্যবহুল ও মানসম্মত প্ল্যাটফর্মে পরিণত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। এখানে আমি মূলত প্রযুক্তি, অনলাইন আয়, ব্লগিং, ডিজিটাল নিরাপত্তা, ফ্রিল্যান্সিং, এসইও এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক প্রাকটিক্যাল ও বাস্তবভিত্তিক গাইড, পরামর্শ ও টিপস প্রকাশ করে থাকি।

আমার লক্ষ্য শুধু লেখা নয়, বরং এমন কনটেন্ট তৈরি করা যা একজন সাধারণ ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে নতুন ব্লগার বা প্রযুক্তি উৎসাহী ব্যক্তি কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে পারেন। তথ্যের সত্যতা, প্রয়োগযোগ্যতা এবং সহজবোধ্য উপস্থাপনাই আমার ব্লগের প্রধান বৈশিষ্ট্য।

"সহজ বাংলায় জ্ঞানের মাধ্যমে জীবনে পরিবর্তন আনুন 💡"

স্বত্ব ©️ Web Tech Info | সম্পাদক ও প্রকাশক: জাকির হোসেন | সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।

👉 Post a Comment 💬 এখানে লিখে আপনার মতামত দিতে পারেন, আমরা শুনতে আগ্রহী! ..... 📝

0 Comments