শব্দে শব্দে সূরা মুলক (৬৭/ আল-মুলক) Surah Mulk in Bengali
বাংলা অর্থ, উচ্চারণ, ফজিলত এবং কবরের আযাব থেকে সুরক্ষার পূর্ণ গাইড
প্রিয় পাঠক, **সূরা মুলক** কুরআনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সূরা, যা ৩০টি আয়াতের সমন্বয়ে গঠিত। এই সূরাটি মুসলিম জীবনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। আমরা **সূরা মূলক** এর ফজিলতের কথা চিন্তা করে—এবং এই সূরা অর্থসহ বুঝে পড়ার নিমিত্তে—**শব্দে শব্দে সূরা মূলক** পড়ে যাতে পাঠকগণ ফায়দা হাসিল করতে পারেন সেই দোয়াই মহান রবের কাছে করি।
ইনশাআল্লাহ্ **শব্দে শব্দে সূরা মূলক** এর পর অন্য সব সূরা শব্দে শব্দে দেওয়ার আশা রইল। আমাদের ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখেন।
"আমি চাই আমার উম্মতের প্রতিটা হৃদয়ে এই সূরাটি গাঁথা থাক।"
⏳ সুরা মুলক তিলাওয়াতের সময় ও গুরুত্ব
নবীজি সা. অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে সুরা মুলক তিলাওয়াত করতেন। হযরত জাবের রা. থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সা. ততক্ষণ পর্যন্ত ঘুমাতেন না, যতক্ষণ না সুরা আলিফ লাম মিম তানজিল, সুরা মুলক পড়ে নিতেন। *(তিরমিজি ২৮৯২)*
সুরা মুলক রাতের বেলা পাঠ করা উত্তম, তবে অন্য যেকোনো সময়ও পড়া যাবে। সাধারণত আলেমরা **ইশার নামাজের পর সুরা মুলক** পাঠ করার কথা বলেন। বিলম্বে কিংবা বিছানায় শুয়ে পাঠ করাও জায়েজ আছে।
✨ কবরের আজাব থেকে সুরক্ষার ফজিলত
- সুরা মুলকের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত রয়েছে। যে ব্যক্তি প্রতিরাতে সুরা মুলক পাঠ করবে, সুরা মুলক তার জন্য **কেয়ামতের দিন সুপারিশ করবে**। তাকে কবরের আজাব থেকে হেফাজত করবে। এই ফজিলত সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
- এ সুরা তিলাওয়াতকারীকে কবরের আজাব স্পর্শ করতে পারবে না। সূরাটি তার আমলকারীর জন্য কবরের আযাবের সামনে **প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াবে**। (সুবহানআল্লাহ)
📚 শব্দে শব্দে সূরাঃ ৬৭/ আল-মুলক - আয়াত ১-৩০
সূরা মুলকের প্রতিটি শব্দের সঠিক অর্থ বুঝতে এবং আত্মস্থ করতে নিচের অংশে **শব্দে শব্দে বাংলা অর্থসহ** ছবিগুলো দেওয়া হলো।
❓ Frequently Asked Questions (FAQ)
প্রস্নঃ- সুরা মুলক পড়লে কি হয় ?
সুরা মুলকের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত রয়েছে। যে ব্যক্তি প্রতিরাতে সুরা মুলক পাঠ করবে, সুরা মুলক তার জন্য **কেয়ামতের দিন সুপারিশ করবে**। তাকে কবরের আজাব থেকে হেফাজত করবে। এই ফজিলত সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। এ সুরা তিলাওয়াতকারীকে কবরের আজাব স্পর্শ করতে পারবে না।
প্রস্নঃ- কোন সুরা ক্ষমার সুপারিশ করবে ?
প্রিয় নবী রাসুল (সা.) হাদিস শরিফে ইরশাদ করেন, ‘কোরআনের মধ্যে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সুরা আছে, যেটি কারো পক্ষে সুপারিশ করলে— তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। এ সুরাটি হলো- **তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলক (সূরা মুলক)**।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১৪০০; সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৮৯১)
উপসংহার :
**সূরা মুলক** আল্লাহর সার্বভৌম ক্ষমতা, সৃষ্টির বিশালতা, জাহান্নামের ভয়াবহতা এবং জান্নাতের সুখ-শান্তি সম্পর্কে আলোচনা করে। দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, 'তোমাদের মধ্যে আমল করার দিক থেকে কে উত্তম, তা পরীক্ষা করার জন্য যিনি সৃষ্টি করেছেন।' এই সূরাটি পাঠ করলে পাঠকের অন্তরে আল্লাহর ভয় ও ভালোবাসা জন্মায়। তাই শব্দে শব্দে সূরা মূলক পাঠের মাধ্যমে সূরার অর্থ যাতে পরিপূর্ণ ভাবে আত্মস্থ করতে পারি সেই প্রত্যাশায়।
আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।



0 Comments