অল্প-পরিশ্রমেই-ক্লান্ত-হচ্ছেন ! সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগে ? পরিবর্তন জরুরি !

সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগলে করণীয়
অল্প-পরিশ্রমেই-ক্লান্ত-হচ্ছেন ! সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগে

📢   সারাক্ষণ  ক্লান্তি লাগে ? মারাত্মক কোন কিছুর ইঙ্গিত নয় তো ? 

 

✅ সারাক্ষণ যদি ক্লান্ত লাগে তবে সেটা অস্বাভাবিকই  বটে। বিভিন্ন কারণে মানুষ সব সময়ই ক্লান্ত অনুভব করতে পারেন। 

 যেমন অল্প কাজ করলেই আপনি  ক্লান্ত হয়ে যান? শরীরে সারাক্ষণ একটা ঝিমানি ভাব থাকে? 

আবার এমন অনেকে বলে থাকেন যে,    যারা  সর্বক্ষণ  ক্লান্ত  অনুভব হয় । ঘুমের আগে ক্লান্তি। ঘুম থেকে উঠেও ক্লান্তি। সারাদিনই যেন জোর করে নিজেকে ঠেলে নিয়ে যেতে হচ্ছে। এমনই চলছে দিনের পর দিন। 

  আমরা প্রায়ই  যানবাহনে বসে-দাঁড়িয়ে মানুষের ঝিমানোর দৃশ্য তো প্রতিদিনের। অফিসে বসেই ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে পড়তে চায় কখনো কখনো।

 প্রতিদিনের ক্লান্তির কিছু কারণ রয়েছে। তার মধ্যে কিছু রয়েছে শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম আবার  



সারাক্ষণ  ক্লান্তি অনুভব করার পেছনে কারণ হতে পারে বিভিন্ন অসুস্থতা ও।

 আবার আমাদের জীবনযাপনের ধরনও অনেকটা দায়ী। অনেক সময় জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনলেই সারা দিনের ক্লান্তি লাগার সমস্যা অনেকটা কেটে যায়। 


এইসব লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। তবে এছাড়াও প্রতিদিনের জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন। এর সাহায্যে কিছুটা চনমনে, চাঙ্গা থাকবেন। কাজ করার ক্ষমতা বাড়বে। 


ধনী বাবা দরিদ্র বাবা           
            ⤵


বিভিন্ন কারণেই ক্লান্তি আসতে পারে শরীর ও মনে। তবে  যেসব কারণে সবচেয়ে বেশি মস্যা দেখা দিচ্ছে, তেমন পাঁচটি বিষয়টি তুলে ধরা হল:

👉  সঠিক খাবার : 


সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগার বড় একটা কারণ হতে  পারে সঠিক ও সুষম খাবার । আমাদের সুস্থ থাকার বড় অংশই নির্ভর করে সারাদিন কী খাচ্ছি তার ওপর।

 তাই অভ্যাস করুন প্রতিদিন সঠিক সময়ে খাবার খাওয়ার। অনেকে সারা দিন নানা কারণে না খেয়ে থেকে সন্ধ্যায় পেটপুরে পোলাও-বিরিয়ানির মতো ভারী খাবার খেয়ে ফেলেন।

 এরকমটা কখনও করতে যাবেন না। এতে আপনার শরীরের পুরো ইমিউন সিস্টেমের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। তাই দিনে তিন বেলা সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ করুন।

 পাশাপাশি দুই বেলা হালকা নাশতা খেতে পারেন। প্রচুর পানি পান করুন। এতে শক্তি পাবেন। সারা দিন আর ক্লান্তি অনুভব করবেন না। 


👉  পর্যাপ্ত ঘুম : 


অল্প-পরিশ্রমেই-ক্লান্ত-হচ্ছেন হয়ত পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে । 

রাত জেগে টিভি দেখা কিংবা স্মার্টফোন ব্যবহারের অভ্যাস অনেকের। এতে নষ্ট হয় অনেকটা সময় সেই সঙ্গে নষ্ট হয় ঘুমও।

 দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, বর্তমানে এই অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে।

 তাই পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য এই অভ্যাস বাদ দিন। কারণ ঘুম কম হলে তা আপনাকে দিনদিন ক্লান্ত করে তুলবে।

 ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে সব ধরনের গ্যাজেট দূরে সরিয়ে রাখুন। সম্ভব হলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত মিনিট পনেরো হাঁটুন। এরপর ঘুমাতে যান। ঘুম ভালো হবে।


পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কিছু কারণ উল্লেখ করা হলঃ 

✔️ আপনার সারাক্ষণ যদি অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত খাবার খেতে ইচ্ছে করে, মানে অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি ঝোঁক বাড়লে বুঝবেন আপনার ঘুম ঠিক মতো হচ্ছে না। 

✔️ সারাক্ষণ অস্বস্তিবোধ, সারাক্ষণ পানির পিপাসা পাওয়াও কিন্তু ভালো লক্ষণ নয়। শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে এমনটা হতে পারে। 

✔️ দিনে একাধিক বার হলেও কফি খেয়ে থাকেন অনেকেই। এ অভ্যাসের কারণেও ঘুমের সমস্যা হতে পারে। অত্যধিক মাত্রায় ক্যাফিন শরীরে গেলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে।

✔️ অতিরিক্ত মদ্যপানের অভ্যাস থাকলেও কিন্তু ঘুম আসতে চায় না। এমন অভ্যাসে থাকলে দ্রুত বাদ দিন। এতে বেশি দিন সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন। 


👉  মানসিক চাপ : 


মন থাকলে মানসিক চাপও থাকবে। সংসার, অফিস, সম্পর্কসহ নানা কারণে মানসিক চাপ থাকতে পারে। তবে তা বাড়তে দেওয়া যাবে না।

সারাক্ষণ মানুষিক চাপে থাকলে সারাক্ষণ ক্লান্তি লাগবে ।

 তাই  কোনো কারণে মানসিক চাপ অনুভব করলে তা সারিয়ে তোলার ব্যবস্থা করুন। অনেক সময় মানসিক চাপের কারণে হজমে গোলমাল দেখা দিতে পারে।

 হতে পারে পেটের সমস্যা। সারা দিন ক্লান্তি অনুভব করার, কোনো কিছুতে আগ্রহ বোধ না করার অন্যতম কারণ হলো মানসিক চাপ।


👉  ওজন : 


সারাক্ষণ ক্লান্তি লাগার অন্যতম কারণ হতে পারে আপনার ওজন। আপনার ওজন যদি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হয় তবে কাজ করতে শক্তিও বেশি ক্ষয় হবে।

 এর ফলে ক্লান্তি অনুভব করবেন। তাই উচ্চতা অনুযায়ী ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করুন। এতে সুস্থ থাকবেন এবং ক্লান্তি অনেকটাই কম অনুভূত হবে।

👉  ডায়াবেটিস :


রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকলেও জানান দেয় শরীর। ক্লান্তি হলো ডায়াবেটিসের একটি গুরুতর উপসর্গ। তাই সারাক্ষণ ক্লান্তি  লাগলে ডায়াবেটিস চেক করেন । 




Frequently Asked Questions ( FAQ )

✅ প্রস্নঃ-  তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে  কী করবেন?


উত্তরঃ-  অতিরিক্ত গরমে যদি  কাউকে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখলে শুরুতেই তাকে আধা ঘণ্টা ঠাণ্ডায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

যদি এতে  তিনি সুস্থ হয়ে যান, তাহলে বুঝতে হবে, অসুস্থতা গুরুতর নয়।

তীব্র গরমে কাউকে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখলে আপনার কী করা উচিত, সে বিষয়ে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কিছু পরামর্শ দিয়েছে।

✔️  ঐ ব্যক্তিকে যত দ্রুত সম্ভব ঠাণ্ডা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে

✔️  শুইয়ে দিতে হবে, এবং তার পা কিছুটা ওপরে তুলে দিতে হবে

✔️  প্রচুর পানি বা পানীয় খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে, পানিশূন্যতা দূর করার পানীয় দেয়া যেতে পারে

✔️   আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বক ঠান্ডা করার ব্যবস্থা করতে হবে, ভেজা কাপড় বা স্পঞ্জ দিয়ে মুছে দেয়া যেতে পারে শরীর। বগলের নিচে এবং ঘাড়ে গলায় ঠাণ্ডা পানি দেবার ব্যবস্থা করা যেতে পারে

কিন্তু যদি ৩০ মিনিটের মধ্যে সুস্থ না হয়, তাহলে ঐ ব্যক্তির হিট স্ট্রোক হবার আশংকা রয়েছে। 



✅ প্রস্নঃ-  কীভাবে বুঝবেন ডায়াবেটিস হচ্ছে- ?


উত্তরঃ-   আগেই যদি লক্ষ্য করা যায়, যে ব্লাড সুগার বেড়ে যাচ্ছে-  তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে, খুব সহজেই শারীরিক অনেক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায় ।  

🚩  ক্লান্ত লাগেঃ 
ব্লাড সুগার বেড়ে গেলে অল্প পরিশ্রমেই শরীর ক্লান্ত হয় যায়। ফলে শরীরে ফাংগাস ইনফেকশন বেশি হয়,  ঘুম পায়, কাজে মনোযোগ দিতেও কষ্ট হয়। 


🚩 অতিরিক্ত ক্ষুধাঃ  
খাওয়ার পরই poriদেখা যায়, আবার ক্ষুধা অনুভব করছেন। আসলে যখন রক্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তখন শরীরকে সচল রাখার জন্য অতিরিক্তি খাদ্যের প্রয়োজন হয়।  

 🚩 ওজন কমেঃ 
অনেকেই হয়ত  খুশি হন এই ভেবে যে, অনেক চেষ্টা করেও যখন ওজন কমানো যায়নি। আর এখন এমনিতেই ওজন কমে স্লিম হয়ে যাচ্ছে। সত্যিটা হচ্ছে, ডায়াবেটিস যখন শরীরে বাসাবাঁধে, তখন ওজন কমে যায়।  

🚩 গলা শুকিয়ে যায়ঃ 
আপনার কি  একটু পরপরই পানির তেষ্টা পায়, আর বারবার মূত্রত্যাগ করার প্রয়োজন বোধ হয়। এটাই ডায়াবেটিসের মূল লক্ষণ হিসেবে ধরে নেন অনেকে।  

🚩 ইনফেকশনঃ 
যদি শরীরে  ব্লাড সুগার বৃদ্ধি পায় তাহলে  শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে শরীরে ফাংগাস ইনফেকশন বেশি হয়, আর যেকোনো ধরনের ইনফেকশন সারতে অনেক বেশি সময় নেয়। 


🚩 দৃষ্টিঃ  
আপনার যদি দীর্ঘদিন হাই ব্লাড সুগার থাকে তাহলে  চোখের দৃষ্টি অস্পষ্ট হয়ে আসে।  

  

শরীরে এর যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সুস্থ থাকুন।  



Post a Comment

0 Comments