জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল- খুলে যাবে সৌভাগ্যের দুয়ার!- Sunnah of Friday

জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ ১০ আমল- খুলে যাবে সৌভাগ্যের দুয়ার!- Sunnahs of Friday - Web Tech info Bangla- একটি প্রযুক্তি ওয়েবসাইট |

🟢  কুরআন হাদিসের আলোকে জুমার দিনের ফজিলত



শুক্রবার জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ ৬ আমল

'আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ' 

 প্রিয় পাঠক আশাকরি আপনারা সবাই ভাল  এবং সুস্থ আছেন । আজকের আর্টিকেলটি শুক্রবারের মর্যাদা !  জুমার দিনের বিশেষ কিছু আমল নিয়ে আপনাদের কাছে হাজির হলাম ।

  জুমার দিন অর্থাৎ শুক্রবার একজন  মুসলিমের জন্য বিশেষ বরকত ও মর্যাদাপূর্ণ দিন।  এই দিনে কিছু বেশেষ আমল ও ফজিলত রয়েছে। জুমার দিনে একটি সময় আছে যে সময় বান্দা দোয়া করলে আল্লাহ সাথে সাথে কবুল করে নেন।

 তো জুমার দিন অর্থাৎ শুক্রবারের মর্যাদা ! ও জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল ও ফজিলত নিয়ে আজকের লেখাটি পড়ার ও সে অনুযায়ী আমল করার বিশেষ অনুরোধ থাকলো ।  


সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে   জুমার দিন অর্থাৎ শুক্রবার আমলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে মুসলমানরা তাদের শত ব্যস্ততা ছেড়ে জুমার নামাজ আদায় করেন।   জুমার  দিনে  নামাজের সময় গরিব-ধনীর ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে শামিল হন এবং মসজিদে প্রবেশের পর সবার মর্যাদা সমান।


বিখ্যাত সাহাবি আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়াছে। এই দিনে তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিনে তাঁকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। (মুসলিম, হাদিস : ৮৫৪)


মর্যাদাপূর্ণ এই দিনের অনেক আমল হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে। তার মধ্যে ৮টি আমল ধারাবাহিক উল্লেখ করা হচ্ছে-


✅ ১. গোসল করা।


✅ ২. উত্তম পোশাক পরিধান করা।


✅ ৩. সুগন্ধি ব্যবহার করা।


✅ ৪. মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনা।


এই চারটি আমলের কথা একসঙ্গে একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার নিকট থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নির্ধারিত নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তাহলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সমস্ত সগিরা গুনাহর জন্য কাফ্ফারা হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)



৫. যথাসম্ভব দ্রুত মসজিদে যাওয়া।


রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশতারা অবস্থান করেন এবং ক্রমানুসারে আগে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকেন। যে সবার আগে আসে সে ওই ব্যক্তির ন্যায় যে একটি মোটাতাজা উট কোরবানি করে। এরপর যে আসে সে ওই ব্যক্তি যে একটি গাভী কোরবানি করে। এরপর আগমনকারী ব্যক্তি মুরগি দানকারীর ন্যায়। তারপর ইমাম যখন বের হন তখন ফেরেশতাগণ তাদের লেখা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনতে থাকেন। (বুখারি, হাদিস : ৯২৯)



৬.  ইমাম সাহেবের নিকটবর্তী হয়ে বসা


 মসজিদে আগে যেসমস্ত মুসল্লিগণ যেতে পারেন তারাই  সাধারণত  ইমাম সাহেবের নিকটবর্তী হয়ে বসার সুযোগ পায়। প্রথম কাতারে বসার যে ফযিলত বর্ণিত হয়েছে তারাই সেই সৌভাগ্য অর্জন করে,  আর   ইমাম সাহেবের নিকটবর্তী হয়ে বসলে সব আলোচনা শোনা ও বোঝা সহজ হয়।

  এই জন্য হাদিসে ইমাম বা খতিব সাহেবের নিকটবর্তী হয়ে বসার কথা বলা হয়েছে। অনেকে হয়ত মনে করতে পারেন এখন তো স্পিকার বা মাইকে আলোচনা শোনা যায়।
 তাদের জন্য একটি উদাহরণ আলোর কাছে বসা আর আলো দূর থেকে দেখা এক নয়। কাছে বসলে মনের মধ্যে আলাদা জাগানিয়া তৈরি হয়।  কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতে ইচ্ছে হয় এবং পরে আমল করার ইচ্ছে জাগে। তাই আমাদের  যথাসম্ভব ইমামের কাছে বসে আলোচনা শোনা উচিত। 


৭.  সুরা কাহফ তিলওয়াত করা


মর্যাদপূর্ণ এই দিনের বিশেষ একটি আমল হচ্ছে সুরা কাহফ তিলওয়াত করা। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহফ পাঠ করবে তার জন্য দুই জুমা পর্যন্ত নূর উজ্জ্বল করা হবে। (আমালুল ইয়াওমী ওয়াল লাইল, হাদিস : ৯৫২)



৮.  বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা


এই দিনের আরেকটি আমল হচ্ছে নবীজির ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা। এই মর্মে রাসুল (সা.) বলেন, দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এই দিনে হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এই দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এই দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুশ করা হবে। অতএব তোমরা এই দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)



৯. দোয়ার প্রতি গুরুত্ব দেয়া


জুমার দিনের গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ একটি আমল হচ্ছে দোয়ার প্রতি মনোনিবেশ করা। জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে একটি বিশেষ মুহূর্ত এমন আছে যে, তখন কোনো মুসলমান আল্লাহর নিকট যে দোয়া করবে আল্লাহ তা কবুল করেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮)

ইমাম সাহেবের নিকটবর্তী হয়ে বসা



 ১০. পায়ে হেটে মসজিদে যাওয়া


পায়ে হেটে দরুদ পড়তে পড়তে  মসজিদে যাওয়ার ব্যপারেই মূলত ফজিলতগুলো বলা হয়েছে। তাই মসজিদে জুমার দিন পায়ে হেটে যাওয়া সুন্নত তবে কারো সমস্যা থাকলে অন্য ব্যপার। 


Frequently Asked Questions (FAQ)

✅ প্রস্নঃ- জুমার দিনের বিশেষ আমলগুলো  কি কি? 
 উত্তরঃ- 
✅ ১. গোসল করা।
✅ ২. উত্তম পোশাক পরিধান করা।
✅ ৩. সুগন্ধি ব্যবহার করা। 
✅ ৪. মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনা।


✅ প্রস্নঃজুমার নামাজ কত রাকাত ?

 উত্তরঃ- 
জুমার নামাজে দুই রাকাত ফরজ । এছাড়া ফরজ নামাজের পূর্বে দুই 
 রাকাত করে সুন্নত নামাজ পড়েতে হয়  এবং পরে চার রাকাত বাদাল জুমা (সুন্নত নামাজ) আদায় করতে হয়। জোহরের নামাজের মতো ব্যক্তি চাইলে এসময় অতিরিক্ত নফল নামাজ আদায় করতে পারে।



✅  Read More:  আশা করি ভালো লাগতেও পারে-




প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)

Post a Comment

0 Comments