ঋণ পরিশোধ হবেই যদিও তা পাহাড়পরিমাণও হয় || মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তে বলেছেন

ঋণ পরিশোধ হবেই যদিও তা পাহাড়পরিমাণও হয় || মহানবী (সা.) যে দোয়া পড়তে বলেছেন

🟢 পাহাড়সম ঋণ পরিশোধের দোয়া 

 

আল্লাহুম্মাকফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।  পাহাড়সম ঋণ পরিশোধের দোয়া
ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া |

✍ এ রকম আরও সুন্দর সুন্দর প্রয়োজনীয় আর্টিকেল পেতে আমাদের পেজটি  follow  দিয়ে রাখুন সেই সাথে বুকমার্ক করে রাখতে পারেন ।

 

বিভিন্ন সময় আমরা অনেকেই ঋণগ্রস্ত হই। ঋণ প্রকৃতপক্ষে কারো জীবনের ক্ষেত্রেই সুখের খবর নয়। আর তাই জীবনে সব সময়ই আমাদের উচিত ঋণ থেকে মুক্ত থাকা। ঋণ থেকে মুক্তিলাভের জন্য হাদিস শরিফে  বিশেষ কার্যকরি কিছু দোয়া বর্ণিত হয়েছে।

আজ আমরা  ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া নিয়ে কোরআন হাদিসের আলোকে  কথা বলবো | কারণ................... 
                                                                                                    
পাহাড়সম ঋণ পরিশোধের দোয়া

ঋণ যথারীতি পরিশোধের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঋণ প্রদানকরে ঋণদাতা গ্রহীতাকে উপকার অনুগ্রহ করে থাকে। কিন্তু ঋণ পরিশোধ কোনো অনুগ্রহ নয়, বরং ঋণগ্রহীতার ওপর এক অবধারিত দায়িত্ব। ঋণগ্রহীতার ওপর এটি ঋণদাতার অধিকার। এমনকি যদি ঋণ গ্রহীতা ঋণ পরিশোধ করার পূর্বে মারা যায়, তাহলে কাফন-দাফনের পর প্রথমেই তার রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে ঋণ পরিশোধকরে দিতে হবে। ঋণ পরিশোধের পর যদি অতিরিক্ত কিছু থাকে,তাহলেই কেবল তার ওয়ারিশদের মাঝে তা বণ্টন করা হবে এবং তাতে তার অসিয়ত কার্যকর হবে।

 ঋণ পরিশোধের বিষয়টি একদিকে যেমন বাধ্যতামূলক, তেমনি হাদিস শরিফে এর ফজিলতের কথাও বর্ণিত হয়েছে। এতে প্রকারান্তরে যথারীতি ঋণ পরিশোধের প্রতি উৎসাহিতও করা হয়েছে।

 

 সাহাবী হজরত আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনা, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি পরিশোধ করে দেওয়ার নিয়তে কারও নিকট থেকে ঋণ গ্রহণ করে আল্লাহতায়ালা তার পক্ষ থেকে তা আদায় করে দেন।’ -সহিহ বোখারি: ২৩৮৭ 

 

আরো খবর


ঋণ যথাসময়ে পরিশোধ করে দেওয়া কেবল পাওনা আদায় নয়, বরং এটা ওয়াদা রক্ষা করার অন্তর্ভুক্ত। সময়মতো যেন ঋণ পরিশোধ করে দেওয়া যায় এজন্যে হাদিসে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।


ইমাম বোখারি (রহ.) বর্ণনা করেছেন, হজরত আবু যর (রা.) বলেছেন, আমি একদিন হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে ছিলাম।
একপর্যায়ে উহুদ পাহাড় তার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি বললেন, ‘আমি চাই না- উহুদ পাহাড় আমার জন্যে স্বর্ণে পরিণত করে দেওয়া হলেও এর একটি দিনার আমার নিকট তিনদিনের বেশি সময় থাকুক; হ্যাঁ, যদি কোনো দিনার আমি আমার ঋণ পরিশোধের জন্যে রেখে দিই সেটা ভিন্ন। -সহিহ বোখারি: ২৩৮৮

 



সময়মতো প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে ঋণ পরিশোধ করে দেওয়া মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ।

ঋণগ্রহীতা যেন এ দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে পারে সেজন্যে


যারা সচ্ছল অবস্থায় শান্তিতে আছেন, তারা যেন কঠিন পেরেশানি, বড় বিপদ, বড় ঋণের বোঝা, অলসতা, অক্ষমতা ও কাপুরুষতার স্বীকার না হন, সেই জন্য নিয়মিত এই দুয়া পড়া উচিত।

 আর যারা এগুলোর শিকার হয়েছেন তারাও নিয়মিত এই দুয়া পড়ে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইবেন— কখনো কখনো ঋণগ্রহীতাকে অসম্মানজনক আচরণের শিকার হতে হয়। তাই ঋণগ্রহীতা সবসময় চান দ্রুত ঋণ পরিশোধ করে অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে।


দ্রুত ঋণমুক্ত হতে সক্ষম হওয়ার জন্য রাসুল (সা.) কিছু আমল ও দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি ঋণ থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে অত্যধিক আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।

একবার ঋণ থেকে রক্ষা পেতে প্রার্থনারত অবস্থায় এক ব্যক্তি বলেন, 

‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনি ঋণ থেকে খুব বেশি বেশি আশ্রয় প্রার্থনা করে থাকেন!’ নবী কারিম (সা.) বলেন- ‘মানুষ ঋণী হলে, কথা বলতে গিয়ে মিথ্যা বলে এবং অঙ্গীকার করলে, রক্ষা করে না।’ (বোখারি, হাদিস নং : ২৩৯৭)


ঋণগ্রস্ত থাকার সময় রাসুল (সা.) সব সময় বেশি বেশি এই দোয়া পড়তেন-

 ‘আল্লাহুম্মা! ইন্নি আউযুবিকা মিনাল কাসালি, ওয়াল হারামি, ওয়াল মা’ছামি, ওয়াল মাদরামি।’



অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে অলসতা, অধিক বার্ধক্য, গুনাহ এবং ঋণ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (বোখারি, হাদিস নং ৬০০৭)


ঋণ থেকে মুক্তির জন্য  আমল


🟢  পর্বত সমপরিমাণ ঋণ থেকে মুক্তি লাভের দোয়া

 

আরো খবর





🟢 ঋণ মুক্তির এবং কোটিপতি হওয়ার শক্তিশালী আমল ! মিজানুর রহমান আজহারী। Mizanur Rahman Azhari ( Video )







🟢 যে দোয়া পড়লে পাহাড় সমান ঋণ থেকেও মুক্তি পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। - শাইখ আহমাদুল্লাহ ( Video )





🟢 রাসুল সা সালাতে ঋনমুক্তির জন্য দোয়া চাইতেন আর আপনি ঋন নিয়ে ব্যবসা করেন পুরো উল্টো by Abdur Razzaque   ( Video )





 𝕂𝕚𝕟𝕕𝕝𝕪 𝕃𝕚𝕜𝕖 / 𝔽𝕠𝕝𝕝𝕠𝕨 𝕆𝕦𝕣 ℙ𝕒𝕘𝕖 𝕥𝕠 𝕜𝕖𝕖𝕡 𝕦𝕡𝕕𝕒𝕥𝕖𝕕 


Post a Comment

0 Comments