Latest Post:👉
Loading......Wait...... Please..........

গ্যাস্ট্রিক সমস্যা দূর করা সহ কাঁচা পেঁপে বহু রোগের মহৌষধ | Papaya-Health-Benefits-and-Nutrition- 2024

কাঁচা পেঁপে খাওয়ার ৪ উপকারিতা – কৃষি ও কৃষকের সংবাদ

Papaya-Health-Benefits-and-Nutrition

পেঁপে বাংলাদেশের সর্বত্রই পাওয়া যায়। একটি বারোমাসি ফল। বছরের প্রায় সব সময়ই কম বেশি দেখা মেলে ফলটির।

 Papaya-Health-Benefits-and-Nutrition অনেক ।  এই পেঁপে এমন একটি ফল যা কাঁচা-পাকা দুই ভাবেই খাওয়া যায়। অনেকে হয়তো এর মূল্য বা উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না।
 ইউরোপে এমন দেশও রয়েছে যেখানে একটি পেঁপে ৫ ডলার দিয়ে কিনতে হয়। আসল কথা হলো পেঁপে এমন একটি ফল যা পুষ্টিগুণে ভরপুর।

 পাকা পেঁপে অনেকেই পছন্দ করেন, কিন্তু কাঁচা পেঁপের গুণ সম্পর্কে কী জানা আছে? এই কাঁচা পেঁপে যেমন রান্না করে খাওয়া যায়, তেমনি সালাদ করেও খাওয়া যায়।


পেঁপে পাকা খেতে যেমন সুস্বাধু তেমনি বিভিন্ন রেসিপিতেও কাঁচা পেঁপের বেশ কদর রয়েছে। কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন। বিভিন্ন রকম অসুখ সারাতে কাঁচা পেঁপে খুবই উপকারি। পেটের নানা রোগবালাই দূরীকরণে কাঁচা পেঁপে খুবই কার্যকরী। শুধু পেটের সমস্যায় নয়, আরও অনেক নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যায় এই ফলের উপকারিতা    অনেক।

 


অন্যান্য ফলের তুলনায় পেঁপেতে ক্যারোটিন অনেক বেশি থাকে। কিন্তু ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম থাকায় যারা মেদ সমস্যায় ভুগছেন তারা অনায়াসে খেতে পারেন এ ফলটি। নিচে পেঁপের নানাবিধ পুষ্টিগুণের কথা তুলে ধরা হল-


অন্ত্রের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে :

অন্ত্রের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে

পেঁপের বীজে আছে এন্টি- অ্যামোবিক ও এন্টি-প্যারাসিটিক বৈশিষ্ট্য যা অন্ত্রের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি এটি বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিড রিফ্লাক্স, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, অন্ত্রের সমস্যা, পেটের আলসার ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা থেকেও রক্ষা করে।
ত্বকের সমস্যা ও ক্ষত দূর করে : পেঁপেতে বিদ্যমান পুষ্টিগুণ ব্রণ ও ত্বকের যে কোন ধরনের সংক্রামক থেকে রক্ষা করে। 



এমনকি এটি ত্বকের ছিদ্র মুখগুলো খুলে দেয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটি ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কাঁচা পেঁপে ত্বকের মরা কোষগুলোকে পুনজ্জ্বীবিত করে তুলতে সাহায্য করে।


ব্যথা নিরাময় করে :

ব্যথা নিরাময় করে :

 পেঁপের পুষ্টিগুণ মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকারী। কারণ এটি মহিলাদের যে কোনো ধরনের ব্যথা কমাতে কার্যকারী ভূমিকা রাখে। পেঁপের পাতা, তেঁতুল ও লবণ একসাথে মিশিয়ে পানি দিয়ে খেলে ব্যথা একেবারে ভালো হয়ে যায়।

হৃদরোগের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় :

হৃদরোগের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় :

 এটি ব্লাড প্রেসার ঠিক রাখার পাশাপাশি রক্তের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি শরীরের ভেতরের ক্ষতিকর সোডিয়ামের পরিমাণকেও কমিয়ে দেয়। ফলে হৃদরোগের সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। একারণেই হৃদরোগীদের সবসময় পেঁপে খেতে বলা হয়।


অতিরিক্ত ক্যালরি ও চর্বি কমিয়ে দেয় : 

অতিরিক্ত ক্যালরি ও চর্বি কমিয়ে দেয় :

পেঁপেতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ই ও এ। এগুলো ১০০ গ্রামে মাত্র ৩৯ ক্যালোরি দেয়। এছাড়া এতে বিদ্যমান এন্টি-অক্সিডেন্ট অতিরিক্ত ক্যালরি ও চর্বির পরিমাণ কমিয়ে দেয়


১০০ গ্রাম কাঁচা পেঁপেতে শর্করা ৭.২ গ্রাম, ক্যালোরি থাকে ৩২ কিলো, ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৬.০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম, খনিজ ০.৫ মিলিগ্রাম এবং ফ্যাট বা চর্বি থাকে ০.১ মিলিগ্রাম পাওয়া যায়। এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। নানা রোগের মহৌষুধ হিসেবে কাজ করে এই ফল।


এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা পেঁপের ঔষধি  গুণাগুণ সম্পর্কে :

- কাঁচা পেঁপে দেহের সঠিক রক্ত সরবরাহে কাজ করে। দেহে জমা থাকা সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে যা হৃৎপিণ্ডের রোগের জন্য দায়ী। নিয়মিত পেঁপে খেলে উচ্চ রক্ত চাপের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

- পেঁপেতে থাকা আঁশ ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি বা অম্লতা, পাইলস ও ডায়রিয়া দূর করতে পারে। মানুষের শরীরকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে পেঁপে দারুণ কার্যকর।

- যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারা কাঁচা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস শুরু করুন। খেতে পারেন কাঁচা পেঁপের জুসও। কাঁচা পেঁপে বা এর জুস রক্তে চিনির পরিমাণ কমায়। আর এটি শরীরে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়ায়।


- কাঁচা পেঁপেতে নানা রকম প্রাকৃতিক এনজাইম থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি এনজাইম হচ্ছে সাইমোপ্যাপিন ও প্যাপিন। এই দুটি এনজাইম প্রোটিন চর্বি ও কার্বোহাইড্রেট ভাঙতে সাহায্য করে।


- নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খেলে ত্বকের সমস্যা দূর হয়। বিশেষ করে ব্রণ এবং ত্বকের ওপর নানা দাগ দূর করতে পারে কাঁচা পেঁপে। মৃত কোষ সমস্যা দূর করতে পারে পেঁপে।

- যাদের পেটে গোলমাল দেখা দেয়, তারা সালাদ হিসেবে কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন। 

- প্রতিদিন দুপুর ও রাতে খাবারের পর এক টুকরো কাঁচা পেঁপে ভালো করে চিবিয়ে খান। তারপর এক গ্লাস পানি খেলে সকালে পেট পরিষ্কার হয়। এতে গ্যাস্ট্রিক ও বদহজমের সমস্যাও দূর হয়।


- ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে কাঁচা পেঁপে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে যথেষ্ট আঁশ বা ফাইবার রয়েছে। পেঁপেতে যেমন কম ক্যালোরি আছে, তেমন মেদ কমানোর জন্য বিশেষ কিছু উপাদান রয়েছে।


কোন পেঁপে বেশি উপকারী :

 
সাধারণত আমরা ফল হিসেবে পাকা পেঁপে খাই। আর কাঁচা পেঁপে সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। কাঁচা ও পাকা, দুটির গুণই আলাদা। তাই গুণের দিক থেকে কোনোটিকে এগিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তবে সুস্থ থাকার জন্য দুই ধরনের পেঁপেই খেতে পারেন। এতে নানা রোগের ঝুঁকি কমবে। 

Papaya-Health-Benefits-and-Nutrition সম্পর্কে  

অপথ্যালমোলজি আর্কাইভস প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিদিন তিনবার পেপে খেলে চোখের বয়সজনিত ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।  বয়স্কদের মধ্যে দৃষ্টি ক্ষতি প্রাথমিক কারণ, প্রতিদিনের খাবারে তলনামূলক ভাবে কম পুস্টি গ্রহণ করা।


পেঁপে আপনার চোখের জন্য ভাল এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ, সি, ও ই এর উপস্থিতির কারণে।

এ ছাড়া পেঁপেতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা ত্বকের কোষ মেরামত করে।  পাকা পেঁপেতে রয়েছে পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পাকা পেঁপে খেলে হার্ট সুস্থ থাকে। ত্বকের জেল্লা ফেরে পাকা পেঁপে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের জন্যও খুব উপকারী। এতে ত্বক ভাল থাকে। 


✪ আরও পড়ুন: পবিত্র কোরআনে রাব্বানা দিয়ে শুরু দু'আ উচ্চারণ অর্থ সহ- Dua With Rabbana 





FAQ Page, ( Question , Answer )

Q1: কাঁচা পেঁপে খেলে কী উপকার হয়?

A1: কাঁচা পেঁপে খেলে শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমাতে সাহায্য করে।


Q2: পেঁপে খেলে কোন ধরনের ভিটামিন থাকে? 

A2: এ ছাড়া পেঁপেতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা ত্বকের কোষ মেরামত করে।  পাকা পেঁপেতে রয়েছে পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।


Q3: কোন সময়ে পেঁপে খেতে উচিত নয়?

A3: পেঁপে  রাতের বেলা খাওয়া  উচিত নয়। 


Q4: পেঁপে খেতে কি ডায়েবেটিস রোগীরা খেতে পারে?

A4: হ্যাঁ, ডায়েবেটিস রোগীরা পেঁপে খেতে পারে।



✍ এ রকম আরও সুন্দর সুন্দর প্রয়োজনীয় আর্টিকেল পেতে আমাদের পেজটি  follow  দিয়ে রাখুন সেই সাথে বুকমার্ক করে রাখতে পারেন ।




Post a Comment

0 Comments