Visit Youtube Visit Our Youtube Channel!
Latest Post:👉
Loading......Wait...... Please..........

জীবনের সুখ কে পায় বেশি — একা থাকা মানুষ, না কি দম্পতি?

দম্পতিরা কি একক মানুষদের চেয়ে বেশি সুখী? নতুন গবেষণা যা বলছে

দম্পতিরা কি একক মানুষদের চেয়ে বেশি সুখী?

নতুন গবেষণা যা বলছে সম্পর্ক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের গভীরতা নিয়ে

একক নাকি দম্পতি – কারা বেশি সুখে থাকে? জানুন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

সম্পর্ক বনাম একক জীবন: সুখের খোঁজে

সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে: একক মানুষদের তুলনায় দম্পতিরা নাকি বেশি সুখী এবং মানসিকভাবে বেশি সন্তুষ্ট। যদিও বর্তমান সমাজে অনেকেই একা থাকতে পছন্দ করছেন, এই গবেষণাটি সম্পর্কের ইতিবাচক দিকগুলো আবার সামনে নিয়ে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ৯০% মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময় বিয়ে বা গুরুতর সম্পর্কে জড়ান। তবে, আজকাল অনেক প্রাপ্তবয়স্কই দীর্ঘকাল একা থাকাকে বেছে নিচ্ছেন। কিছু গবেষণা দাবি করে যে, এককরাও সঙ্গীযুক্তদের মতোই সুখী হতে পারে, কিন্তু জার্মানির একটি নতুন গবেষণা ভিন্ন চিত্র দেখাচ্ছে।


বিশাল এক জরিপ: ৭৭,০০০ প্রাপ্তবয়স্কের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ

জার্মানির বিশেষজ্ঞরা ৫০ বছরের বেশি বয়সী ৭৭,০০০ এরও বেশি প্রাপ্তবয়স্কের উপর এই বিশাল গবেষণাটি চালান। তাঁরা অংশগ্রহণকারীদের মানসিক বৈশিষ্ট্য—যাকে মনোবিজ্ঞানীরা 'বিগ ফাইভ' বলেন—সেগুলো বিশ্লেষণ করেছেন। এই 'বিগ ফাইভ' বৈশিষ্ট্যগুলো হলো: এক্সট্রাভার্সন (বহির্মুখীতা), অ্যাগ্রিাবিলিটি (সহানুভূতি), ওপেননেস (খোলামেলা মনোভাব), কনশিয়াসনেস (সচেতনতা), এবং নিউরোটিসিজম (মানসিক অস্থিরতা)

  • যাঁরা কখনোই কোনো গম্ভীর সম্পর্ক বা বিয়ে করেননি, তাঁরা সম্পর্কিত ব্যক্তিদের তুলনায় জীবনে কম সন্তুষ্ট ছিলেন।
  • যাঁরা বর্তমানে একা আছেন কিন্তু পূর্বে কোনো সম্পর্কের মধ্যে ছিলেন, তাঁরাও সেইসব একক মানুষদের তুলনায় বেশি সন্তুষ্ট ছিলেন যাঁরা কখনোই কোনো সম্পর্কে জড়াননি।

গবেষণা বলছে, একক ব্যক্তিরা সাধারণত কম এক্সট্রাভার্ট এবং কম ওপেন থাকেন, যার ফলস্বরূপ তাদের সামাজিক জীবন এবং মানসিক স্বাস্থ্যের মান কিছুটা কম হতে পারে।

সম্পর্ক বনাম একক জীবন সুখের খোঁজ

কেন এই পার্থক্য?

এই গবেষণার ফলাফল এমন এক সময়ে এসেছে যখন অন্যান্য গবেষণাগুলোও দেখাচ্ছে যে, একক মানুষদের মনের অবস্থা বেশি খারাপ হয় এবং তারা বিষণ্নতার ঝুঁকিতে থাকেন। একই সাথে, মানুষ দিন দিন বিয়ে বা সম্পর্কের প্রতি কম আগ্রহী হচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্মহারেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

গবেষণার প্রধান লেখক জুলিয়া স্টার্ন বলেছেন, "যারা জীবনের পুরোটা সময় একক আছেন এবং যারা সম্পর্ক করেছেন, তাদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এর মানে হল যে, আমাদের উচিত এই একক মানুষদের প্রতি আরও মনোযোগী হওয়া।"

গবেষণার অংশ হিসেবে, অংশগ্রহণকারীদের জীবন সন্তুষ্টির বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, যেখানে ০ মানে 'সম্পূর্ণ অস্বস্তিকর' এবং ১০ মানে 'সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট'। এই গবেষণার মধ্যে প্রায় ৫,০০০ (৬%) মানুষ কখনো বিয়ে করেননি, ৩,০০০ (৪%) কখনো পার্টনারের সঙ্গে থাকেননি এবং ২,৪০০ (৩%) কখনো গম্ভীর সম্পর্কেও ছিলেন না।

দম্পতিরা কি একক মানুষদের চেয়ে বেশি সুখী

একক নারী ও প্রবীণদের চিত্র

  • গবেষণায় উঠে এসেছে, যারা সারা জীবন একক ছিলেন তারা কম এক্সট্রাভার্ট, কম কনশিয়াস এবং কম ওপেন ছিলেন, আর তারা জীবনে কম সন্তুষ্ট।
  • তবে, একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, একক নারীরা একক পুরুষদের তুলনায় বেশি সন্তুষ্ট ছিলেন।
  • এছাড়াও, প্রবীণ এককরা তাদের বয়সী মধ্যবয়সী এককদের তুলনায় বেশি সন্তুষ্ট ছিলেন। এর কারণ হলো, বয়স বাড়ার সঙ্গে তারা অন্যদের বিয়ে করা বা সন্তান জন্মদানের সামাজিক চাপ থেকে মুক্ত ছিলেন, যা তাদের পরস্পরের প্রতি ঈর্ষা কমিয়েছে।

সম্পর্কের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব

গবেষকরা আরও বলেন, সম্পর্কের প্রভাব হয়তো অস্থায়ী হতে পারে। যেমন, একজন এক্সট্রাভার্ট ব্যক্তি যদি একজন ইন্ট্রাভার্টের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান, প্রথমে হয়তো তাদের ব্যক্তিত্ব কিছুটা পরিবর্তিত হয়, তবে সময়ের সাথে তাদের পুরনো ব্যক্তিত্ব ফিরে আসে। এর মানে হলো, মৌলিক ব্যক্তিত্ব বৈশিষ্ট্যগুলো দীর্ঘ মেয়াদে খুব বেশি পরিবর্তিত হয় না, কিন্তু সম্পর্কের কারণে তাৎক্ষণিক আনন্দ ও সন্তুষ্টি বাড়ে।

গবেষণার ফলাফল স্পষ্টভাবে বলছে, সম্পর্কিত ব্যক্তিরা বেশি সন্তুষ্ট থাকতে পারেন কারণ তাদের মানসিক এবং আর্থিক সহায়তা পাওয়ার সুযোগ বেশি থাকে। এই দুটি বিষয় জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

স্টার্ন বলেছেন, "যত বেশি পার্থক্য, তত বেশি তা বৃদ্ধ মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তারা বেশি স্বাস্থ্যগত ও আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হন, এবং এক্ষেত্রে একমাত্র সহায়ক হতে পারে তাদের সঙ্গী।"

নতুন গবেষণা যা বলছে সম্পর্ক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের গভীরতা নিয়
"সুখ কারো অবস্থানে নয়, সম্পর্কের মাঝে লুকানো — একাকিত্বে স্বাধীনতা, আর দাম্পত্যে সংযোগ খুঁজে পায় মন।"

এই গবেষণাটি একক জীবন এবং সম্পর্কের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যের পার্থক্য নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছে, যা সমাজে চলমান সম্পর্কের পরিবর্তন এবং তার প্রভাব তুলে ধরে।

© ২০২৩ [আপনার নাম/সংস্থা]। সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।

জ্ঞান বিজ্ঞানের উৎকর্ষ আমাদের প্রভাবিত করে। আলোকিত করে। প্রযুক্তি আর জ্ঞানের সেই অসীম সম্ভাবনা আমাদের প্রতিদিনের জীবনকে নতুন করে গড়ে তোলে। Web Tech Info-র লক্ষ্য, এই আলোকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়া । সেই লক্ষেই সব কিছু, এক জায়গায়—বাংলায়।
✅ আশা করি,
এরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের
"Web Tech Info ব্লগ সাইটটি"

Follow দিয়ে রাখুন অথবা হোম পেজটি বুকমার্ক করে রাখতে পারেন।

Admin Photo Admin পরিচিতি

জাকির হোসেন একজন প্রযুক্তি বিষয়ক ব্লগার, কনটেন্ট নির্মাতা ও ওয়েব ডেভেলপার। তিনি প্রযুক্তি, অনলাইন আয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা, ব্লগিং এবং এসইও বিষয়ক লেখা নিয়ে ZakirZone.com ব্লগ পরিচালনা করছেন ২০১৫ সাল থেকে।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: Web Tech Info এর পক্ষে Md Zakir Hossain
  • অভিজ্ঞতা: ১০+ বছর 🔍 ব্লগিং ও 💻 ফ্রিল্যান্সিং
  • লক্ষ্য: বাংলাভাষী পাঠকদের জন্য মানসম্মত প্রযুক্তিগত কনটেন্ট সরবরাহ করা

📧 যোগাযোগ: contact@zakirzone.com
🌐 ওয়েবসাইট: www.zakirzone.com


🎯 আমার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে 💚 নতুন কিছু শেখা এবং সেই জ্ঞান অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করা। আমি বিশ্বাস করি, শেখার কোনো শেষ নেই — আর তথ্য শেয়ার করার মাধ্যমে আমরা একে অপরের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারি।

আমার অভিজ্ঞতা ও আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে আমি ZakirZone.com ব্লগটিকে একটি তথ্যবহুল ও মানসম্মত প্ল্যাটফর্মে পরিণত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। এখানে আমি মূলত প্রযুক্তি, অনলাইন আয়, ব্লগিং, ডিজিটাল নিরাপত্তা, ফ্রিল্যান্সিং, এসইও এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক প্রাকটিক্যাল ও বাস্তবভিত্তিক গাইড, পরামর্শ ও টিপস প্রকাশ করে থাকি।

আমার লক্ষ্য শুধু লেখা নয়, বরং এমন কনটেন্ট তৈরি করা যা একজন সাধারণ ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে নতুন ব্লগার বা প্রযুক্তি উৎসাহী ব্যক্তি কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে পারেন। তথ্যের সত্যতা, প্রয়োগযোগ্যতা এবং সহজবোধ্য উপস্থাপনাই আমার ব্লগের প্রধান বৈশিষ্ট্য।

"সহজ বাংলায় জ্ঞানের মাধ্যমে জীবনে পরিবর্তন আনুন 💡"

স্বত্ব ©️ Web Tech Info | সম্পাদক ও প্রকাশক: জাকির হোসেন | সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।

👉 Post a Comment 💬 এখানে লিখে আপনার মতামত দিতে পারেন, আমরা শুনতে আগ্রহী! ..... 📝

0 Comments