উত্তরঃ ▷ আয়কর হলো সরকার কর্তৃক আরোপিত একটি বাধ্যতামূলক কর যা একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আয়ের উপর ধার্য করা হয়। এই অর্থ সরকারের রাজস্বে জমা হয় এবং দেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হয়।
উত্তরঃ ▷যাদের বার্ষিক আয় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত করযোগ্য আয়ের সীমা অতিক্রম করে, তাদের আয়কর দিতে হয়। এছাড়া, কিছু পেশা বা ব্যবসার ক্ষেত্রে করযোগ্য আয় সীমা থাকুক বা না থাকুক, তাদের রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক হতে পারে।
উত্তর ▷ বাংলাদেশের বর্তমান অর্থবছরের (২০২৩-২৪) অনুযায়ী, সাধারণ ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৩,৫০,০০০/- (তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা। নারী ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী করদাতার জন্য ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য ৪,৭৫,০০০/- (চার লক্ষ পঁচাত্তর হাজার) টাকা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার জন্য ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা।
উত্তর ▷ সাধারণত, ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য প্রতি বছর ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হয়, যা "কর দিবস" নামে পরিচিত। তবে, বিশেষ পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এই সময়সীমা বাড়াতে পারে।
উত্তর ▷আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে নিম্নলিখিত শাস্তি বা জরিমানা হতে পারে:
জরিমানা:
কর দিবস (৩০শে নভেম্বর) এর মধ্যে রিটার্ন দাখিল না করলে, শেষ তারিখের পর প্রতিদিন ৫০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১,০০০ টাকা জরিমানা হতে পারে।
অতিরিক্ত সরল সুদ (Surcharge):
যদি কোনো করদাতার করযোগ্য আয় থাকে কিন্তু তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল না করেন, তাহলে বকেয়া করের উপর প্রতি মাসে ২% হারে অতিরিক্ত সরল সুদ (Surcharge) আরোপিত হতে পারে।
আইনগত ব্যবস্থা: বারবার নোটিশ দেওয়ার পরও রিটার্ন দাখিল না করলে বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করলে, আয়কর আইন অনুযায়ী জেল ও জরিমানার মতো কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
সেবা প্রাপ্তিতে বাধা:
অনেক সরকারি ও বেসরকারি সেবা (যেমন, ব্যাংক ঋণ, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন, গাড়ি রেজিস্ট্রেশন) গ্রহণের জন্য টিআইএন (Taxpayer Identification Number) এবং ট্যাক্স রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র (Acknowledgement Receipt) প্রয়োজন হয়। রিটার্ন জমা না দিলে এসব সেবা পেতে সমস্যা হতে পারে।
0 Comments