📢 রোগ নিরাময়ে জিরার জাদুকরী গুণ ! -Cumin or Jeera Health Benefits
▷ প্রকৃতি আমাদের হাতের কাছেই কিছু উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান সাজিয়ে রেখে দিয়েছে। প্রকৃতির এক অনন্য এমনই এক মহৌষধ হলো জিরা বা জিরে বা জীরা বা ( Cumin ) । জানলে অবাক হবেন, রান্নাঘরে মজুত থাকা প্রকৃতির এই অনন্য মশলাই কিন্তু সুস্বাস্থ্যের কারিগর। নানাবিধ Health benefits রয়েছে এই রান্নাঘরের Cumin / Jeera অর্থাৎ জিরায় ।এই জিরা শরীরকে ডিটক্সিফাই করে, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে, আবার ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তাই তো চিকিৎসকরা সবাইকেই নিয়মিত জিরা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়া জিরায় আয়রন, কপার, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক সহ নানা পুষ্টি উপাদানও রয়েছে, যা শরীরের জন্য উপকারী।
জিরে পেট এবং হজমের জন্য খুব ভালো। পেটব্যথা, বদহজম, ডায়রিয়া, মর্নিং সিকনেসে জিরে খেলে সঙ্গে সঙ্গে লাভ মেলে।
✮ পুষ্টিবিজ্ঞানীদের কথায়, এই মশলায় রয়েছে অত্যন্ত উপকারী কিছু প্ল্যান্ট কম্পাউন্ট, যা একাধিক রোগের ফাঁদ এড়াতে সাহায্য করে। এমনকি এতে মজুত রয়েছে ক্যালশিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো অত্যন্ত জরুরি কিছু খনিজ। এসব খনিজ দেহে পুষ্টির ঘাটতি মেটানোর কাজে সিদ্ধহস্ত।
✮ জিরা বিভিন্ন ভাষায় অনেক নামে যায় যেমন কুমিং (চীনা), জিরা (হিন্দি), কুমিনো (ইতালীয়), কমিনো (স্প্যানিশ), জিরা (ফরাসি), কামাউন (আরবি), এবং ক্রুজকুমেল (জার্মান) ✮ সুতরাং আর সময় নষ্ট না করে জিরার একাধিক চমকে দেওয়া গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিন। তারপর প্রতিদিন সকালে এক চামচ জিরা পানিতে দিয়ে গিলে কিংবা চিবিয়ে খেয়ে নিন। তাতেই ফিরবে আপনার স্বাস্থ্যের হাল।
👉 জিরা (বৈজ্ঞানিক নাম: Cuminum cyminum) ইংরেজিতে Cumin বা কামিন্ অর্থাৎ জিরা; জীরা; জিরে হল একটি মশলা, যা রান্নার কাজে এবং ঔষধি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। এটি পার্সলে পরিবারের একটি উদ্ভিদ । একটি উদ্ভিদের সুগন্ধযুক্ত বীজ বা এই বীজগুলি থেকে তৈরি একটি গুঁড়ো নিয়ে গঠিত একটি মশলা, বিশেষ করে দক্ষিণ এশীয় এবং পশ্চিম এশীয় রান্নায় ব্যবহৃত হয়।
যে কারণে জিরা খাওয়া জরুরি । Cumin or Jeera Health Benefits
1️⃣ মেটাবলিজম ও ফ্যাট বার্ন বাড়ায় ।
জিরা পানি শরীরের মেটাবলিজমকে ত্বরান্বিত করে এবং ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে। তাই পেটের চর্বি থেকে মুক্তি পেতে এই ডিটক্স ওয়াটার বেশ উপকারী। তবে শুধু ডিটক্স ওয়াটার পান করলেই হবে না, সেই সাথে প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি জিরা পানি পান করলে মেটাবলিজমের হার বেড়ে যায়, যা দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
2️⃣ জিরায় ( Jeera / Cumin ) ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে ।
ওজন স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকলে একাধিক জটিল অসুখের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই যেনতেন প্রকারেণ ওজন নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে জিরা। এই মশলায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
জিরার এই কার্যকারিতা ইতোমধ্যে ২০১৫ সালের একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। তাই আপনার ওজন কমানোর যাত্রায় জিরাকে জায়গা করে দিতেই হবে।
3️⃣ জিরায় ( Jeera / Cumin ) বশে থাকবে খারাপ কোলেস্টেরল ।
হাই কোলেস্টেরল একটি ঘাতক অসুখ। এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে না রাখলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ থেকে শুরু করে একাধিক প্রাণঘাতী সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই যত কষ্টই হোক না কেন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে হবে।
এই যুদ্ধে আপনার সহযোদ্ধা হতে পারে জিরা। কারণ এই মশলায় রয়েছে এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কিনা দেহে লিপিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সিদ্ধহস্ত। সুতরাং এই মারণ অসুখের ফাঁদ এড়াতে যত দ্রুত সম্ভব জিরার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিন।
4️⃣ ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগের মহৌষধ ।
ডায়াবেটিসের মতো জটিল অসুখকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে প্রতিদিন সকালে এক চামচ জিরা চিবিয়ে বা পানি দিয়ে গিলে খাওয়া শুরু করুন। গবেষণা বলছে, নিয়মিত এই মশলা খেলে শরীরে ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে নিম্নমুখী হয় ব্লাড সুগার।
6️⃣ অ্যাসিডিটি উপশম করে
জিরায় ( Jeera/ Cumin ) পেটের সমস্যা নিপাত যাবে । আজকাল অনেকেই ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের খপ্পরে পড়ছেন। একবার এই রোগের ফাঁদে পড়লে কথায় কথায় গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং ডায়ারিয়া লেগেই থাকে। এই ধরনের সমস্যা দূর করতে জিরার জুড়ি নেই। এমনকি জিরা খেলে ওষুধের প্রতি নির্ভারতাও বহুগুণে কমবে।
জিরা পানির উপকারিতা হিসেবে একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়। এই পানীয় অ্যাসিডিটি কমাতে ও প্রতিরোধে কার্যকরী। যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা আছে, তারা প্রতিদিন জিরা পানি পান করলে অবস্থার উন্নতি দেখতে পাবেন আশা করি।
তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়েটে এই মশলাকে জুড়ে দিতেই হবে। এছাড়া যাদের পরিবারে ডায়াবেটিস হওয়ার ইতিহাস রয়েছে, তারাও রোগের ফাঁদ এড়াতে জিরা খেতে পারেন।7️⃣ রক্তশূন্যতা কমানোতে সহায়ক
জিরার বীজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। রক্তে হিমোগ্লোবিন গঠনের জন্য আয়রনের প্রয়োজন। পানি পান করলে তা রক্তস্বল্পতার উপসর্গ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সেই সাথে এটি আমাদের শরীরে অক্সিজেন পরিবহণের জন্য আরো প্রয়োজনীয়।
8️⃣ হার্টের জন্য ভালো
জিরার পানি আমাদের শরীরে রক্তচাপ, ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি আমাদের হৃদপিণ্ডকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে।
9️⃣ জিরায় ( Jeera / Cumin ) স্ট্রেসের মার সইতে হবে না
স্ট্রেস বা দুশ্চিন্তা কিন্তু একাধিক শারীরিক ও মানসিক সমস্যার কারণ। তাই নীরোগ জীবন কাটানোর ইচ্ছা থাকলে দুশ্চিন্তার ফাঁদ এড়াতে হবে। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে জিরা। আসলে এই মশলায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার, যা কিনা স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমানোর কাজে একাই একশো। তাই দুশ্চিন্তায় ভুক্তভোগীরা নিয়মিত জিরা খান। এতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।
👉 জিরায় ( Jeera / Cumin ) ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগের মহৌষধ । ডায়াবেটিসের মতো জটিল অসুখকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে প্রতিদিন সকালে এক চামচ জিরা চিবিয়ে বা পানি দিয়ে গিলে খাওয়া শুরু করুন। গবেষণা বলছে, নিয়মিত এই মশলা খেলে শরীরে ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে নিম্নমুখী হয় ব্লাড সুগার।
ঘুম থেকে উঠার পর দিনের শুরুতে জিরা পানি পান করা সবচেয়ে ভালো। সকালে খালি পেটে জিরা পানি পানের উপকারিতাগুলোর মধ্যে রয়েছে হজমে সহায়তা করা, ফোলাভাব কমানো এবং ওজন কমানো। এই পানীয়টি সারাদিনের যেকোনো সময় পান করা যেতে পারে, তবে দিনের প্রথম দিকে পান করা হলে এটির সর্বাধিক উপকারিতা পাওয়া যায়।
তাই ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়েটে এই মশলাকে জুড়ে দিতেই হবে। এছাড়া যাদের পরিবারে ডায়াবেটিস হওয়ার ইতিহাস রয়েছে, তারাও রোগের ফাঁদ এড়াতে জিরা খেতে পারেন। ▐
এরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের
follow দিয়ে রাখুন । অথবা হোম পেজটি বুকমার্ক করে রাখতে পারেন ।
𝕂𝕚𝕟𝕕𝕝𝕪 𝕃𝕚𝕜𝕖 / 𝔽𝕠𝕝𝕝𝕠𝕨 𝕆𝕦𝕣 ℙ𝕒𝕘𝕖 𝕥𝕠 𝕜𝕖𝕖𝕡 𝕦𝕡𝕕𝕒𝕥𝕖𝕕 ❦
0 Comments