‘না’ এর বদলে শিশুকে বলতে পারেন যে কথাগুলো ! শিশুর আদর-যত্ন (পর্ব- ২ ) Parenting Tips

‘না’ এর বদলে শিশুকে বলতে পারেন যে কথাগুলো !  শিশুর আদর-যত্ন (পর্ব- ২ ) Parenting Tips

Parenting Tips :

একটি  সন্তানের সাফল্যের জন্য আমরা যারা  অভিভাবক আছি সবাই আপ্রাণ চেষ্টা করি । এই সাফল্য একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। বাবা-মা ছোট বয়সে এই গুণগুলো শিশুর মধ্যে গড়ে তোলার চেষ্টা করলে তাদের ভবিষ্যত সুন্দর হতে পারে।

অনেক সময় শিশুরা  অনেক কিছুর জন্য বায়না করে, যা তাদের তখনই দেওয়া সম্ভব হয় না। এই সব ক্ষেত্রে সরাসরি 'না' অর্থাৎ নেগেটিভ কোনো কথা  বলবেন না। যে কোনওরকম নেগেটিভ শব্দ শিশুর কোমল মনে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। 

অন্যদিকে  একটি শিশুকে যেমন আদর-যত্নে বড় করে তুলতে হয়, তেমনই তার এই কোমল  মনেরও খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। শিশুমন অত্যন্ত নরম। সেখানে কোনও ভাবে আঘাত লাগলে তা ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই শিশুকে কী বলবেন, কী ভাবে বলবেন, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা জরুরি বৈকি।

 

অনেক শিশুরই মুখের প্রথম সচেতন বুলি ‘না’। বাবা মা সারাদিন এতবার ‘না না না’ বলেন যে শিশু সবার আগে এই নেতিবাচক শব্দটাই শেখে।

 

আবার অনেক সময় ছোট ছেলে-মেয়েরা অনেক কিছুর জন্য বায়না করে, যা তাদের তখনই দেওয়া সম্ভব হয় না। এই সব ক্ষেত্রে সরাসরি 'না' বলবেন না। যে কোনওরকম নেগেটিভ শব্দ শিশুমনে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। সরাসরি 'না' না বলে আর যে ভাবে শিশুর মনকে অন্যদিকে ঘোরাতে পারবেন, তা দেখে নিন।

 

‘না’ এর বদলে শিশুকে বলতে পারেন যে কথাগুলো !  শিশুর আদর-যত্ন (পর্ব- ২ ) Parenting Tips

এক.
অনেক সময় শিশুরা কোন কিছুর জন্য জেদ করে তখন যদি আপনার মনে হয় যে আপনার শিশু যা চাইছে তা তাকে দেওয়া যেতেই পারে তবে এখনই  না দিয়ে ,  তাকে বলুন, 'হ্যাঁ তুমি এটা পাবে তবে পরে' যেমন, 'আগে স্কুলের ব্যাগ গুছিয়ে নাও, তারপরে ক্যান্ডি পাবে।'

 

দুই.
সব শিশুরাই কৌতূহলী হয়। কৌতূহল শিশুকে বিভিন্ন কিছু শিখতে আগ্রহী রাখে এবং নতুন, অনিশ্চিত বা চ্যালেঞ্জিং বিষয়গুলোকে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। 
আবার

অনেক সময় ছোট ছেলে-মেয়েরা খুব জেদি হয়ে যায়। তারা যেটা চাইছে, তখনই না পেলে কান্নাকাটি শুরু করে। তাদের তখন 'না' না বলে বরং তাদের মন অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করুন। অন্য কথা বলে বা অন্য কিছু দেখিয়ে তাদের মন অন্যদিকে ব্যস্ত করে দিন।


তিন.
অনেক সময় ছোট ছেলেমেয়েরা ছুরি-কাঁচি বা অন্য কোনও বিপজ্জনক বস্তু নিয়ে খেলার বায়না করে। সেক্ষেত্রে তাদের অন্য কোনও খেলনা দিয়ে ভোলানো চেষ্টা করুন। তাদের বলুন যে ছুরি-কাঁচি না নিয়ে তুমি বরং এটা নিয়ে খেলো। সেই খেলায় আপনিও তার সঙ্গে যোগ দিন। খেলা জমে উঠলে বায়না ভুলতে শিশুর সময় লাগবে না।

 

শিশুর সাথে ইতিবাচক শব্দ ব্যবহার করে কথা বললে শিশুর নেতিবাচক সমস্যার সমাধান এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা বাড়ে ৷ একটি শিশু যত ইতিবাচক কথা শুনবে তত তারা কী করতে পারবেনা সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে, তারা কী কী করতে পারবে সেসবে মনোযোগী হতে পারবে৷

 

খাবারটি ছুঁড়ে ফেলো নানা বলে বলুন, খাবারটি এখানে প্লেটের ওপরে রাখো। যে কোনো খাবার প্লেটের ওপরে রাখতে হয়। তারপরে এভাবে ধরে মুখে পুরে খাও

সুতরাং একজন সচেতন অভিবাবক হিসাবে বিষয়গুলো অত্যান্ত সতর্কতার সাথে বিবেচনা করতে হবে।  

কারণ  সন্তানের জীবনে বাবা-মা যেমন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি বাবা-মায়ের জীবনে সন্তান। এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া যেমন একটি বিশাল দায়িত্ব, তেমনি এটি বিশেষ গর্ব ও আনন্দেরও।



Frequently Asked Questions (FAQ)


✅ প্রস্নঃ- শিশুর জেদ কমানোর উপায় কি ?


উত্তরঃ- আপনার বাচ্চা যদি  খুব বেশি জেদ করে তাহলে  এই টিপসগুলি মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে- 

🟇 প্রাথমিক উপায়  হিসাবে নিজেকে শান্ত রাখুন। 

🟇 জেদ সামলানোর জন্য কৌশলী হন । 

🟇 অভিভাবকদের মনকে শান্ত রাখতে হবে।
🟇 শিশুর  মনযোগ ঘোরানোর চেষ্টা করুন 
🟇 শিশু  জেদ ধরলে বকাবকি করবেন না 

🟇 শিশুর ​ব্যক্তিত্বের উপর নজর রাখুন



✅ প্রস্নঃ- শিশুর অস্থিরতা দূর করার উপায়।  



উত্তরঃ-  সন্তান মাত্রা অতিরিক্ত চঞ্চল? কন্ট্রোলে  আনতে মেনে চলুন ৫ টিপস

​🫣 শক্তির সঠিক ব্য়বহার ছোট বাচ্চাদের এমন কিছু ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে রাখুন, যাতে তাদের শারীরিক শক্তি সঠিক পথে সঞ্চালিত হতে পারে। 

🫣 ​শিশুর শক্তির সঠিক ব্য়বহার

​🫣 শিশুর মন শান্ত করতে মিউজিক 

​🫣 শিশুর গ্যাজেটের ব্যবহার কমানো

​🫣 শিশুর সঠিক খাদ্যাভ্যাস

🫣 ​শিশুকে নিয়মিত ম্যাসাজ




Post a Comment

0 Comments