🟢 যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয় || সেরা নাশিদ || Islamic Lyrics
গানের শিরোনামঃ যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয় | কথাঃ বিলাল হোসাইন নূরী | সুরঃ মশিউর রহমান।
যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয় তারা কভু পথ ভুলে যায়না।
আল্লাহর প্রেম ছাড়া এই দুনিয়ায় কারো কাছ থেকে কিছু চায়না।
"যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয়" গজলটির লিরিক নিচে দেওয়া হলো। এটি একটি ইসলামিক গান যাতে আল্লাহর প্রতি ভয় ও ভালোবাসার কথা বলা হয়েছে।
যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয়
লিরিকঃ
|| Islamic Bangla Gojol Lyrics ||
যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয় তারা কভু পথ ভুলে যায়না,
আল্লাহর প্রেম ছাড়া এই দুনিয়ায় কারো কাছে কোনো কিছু চায়না।
রাতের আঁধারে যারা সেজদাতে রয় দুচোখের অশ্রুতে নদী যেন বয়,
ছলনার হাতছানি যতই আসুক পেছনে ফিরেও তাকায় না।
দ্বীন কায়েমের পথে যারা অবিচল তারা হলো আল্লাহর প্রিয়জন।
বাতিলের কাছে যারা হার মানেনা সংগ্রাম করে যায় আমরণ।
হেরার আলোতে যার হৃদয় রঙিন হাতে আল কুরআনের দীপ্ত সংগীন,
সত্যের পথে যারা নিবেদিত প্রাণ শত্রুকে কভু ভয় পায়না।
যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয়, তারা কভু পথ ভুলে যায়না।
আল্লাহর প্রেম ছাড়া এই দুনিয়ায় কারো কাছে কোনো কিছু চায়না।
✅ প্রশ্নঃ ইসলামী গজল গাওয়া বা শোনা কি জায়েজ?
উত্তরঃ
আমরা অনেক সময় ইসলামী সঙ্গীত অর্থাৎ Islamic-lyrics ! বা গজল শুনে থাকি। এমন কি অনেক সময় অনেক আলেমকেও গজল শুনতে দেখা যায়।
এখন আমার প্রশ্ন হলো, ইসলামী সংগীত তথা গজল গাওয়া বা শুনা কি জায়েয? শরীয়ত এ ব্যপারে কি বলে?
কিতাবাদী অধ্যা্য়নে এ কথা জানা যায় যে- ইসলামী সংগীত তথা হামদ-নাত, জাগরণী সংগীত ইত্যাদি গাওয়া এবং শোনা জায়েজ আছে।
অর্থাৎ ইসলামী সংগীত যেমন হামদ-নাত বা গজল গাওয়া ও শোনা জায়েজ — যদি এর মধ্যে কোনো হারাম বিষয় না থাকে।
যেমন:
- কোনো বাদ্যযন্ত্র বা বাজনা ব্যবহার না করা। অর্থাৎ এর মাঝে বাজনা ইত্যাদি থাকতে পারবে না। যদি বাজনা ইত্যাদি থাকে তাহলে গানের হুকুমে হয়ে হারাম হয়ে যাবে।
- কোনো শিরকী বা অশ্লীল কথা না থাকা। মানে কোন ধরনের শিরিকী কোন কথা থাকতে পারবে না। শিরিকের কিছু থাকে তাহলে হারাম হবে। এক কথায় কোন হারাম কথা বা হারাম কিছু থাকতে পারবে না।
- এর সাথে সাথে খেয়াল করতে হবে, যেন এর দ্বারা ইবাদতের মাঝে গাফিলতি কিংবা ক্ষতি না হয়। যদি হয় তাহলে জায়েয হবে না। অর্থাৎ ইবাদতে গাফিলতি বা মনোযোগ বিচ্যুতি না ঘটানো।
✅ প্রশ্নঃ ইসলামে গান-বাজনা হারাম না হালাল?
উত্তরঃ
ইসলামে গান-বাজনা শোনা হারাম। আর তা হারাম হওয়ার ব্যাপারে লেশমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। সলফে সালেহীন; সাহাবা ও তাবেঈন কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে যে, গান অন্তরে মুনাফিকী (কপটতা) উদগত করে। উপরন্ত গান শোনা-অসার বাক্য শোনা এবং তার প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার পর্যায়ভুক্ত। আর আল্লাহ তা’আলা বলেন,
মহান আল্লাহ বলেন-
“মানুষের মধ্যে কেউ কেউ এমনও রয়েছে যারা অজ্ঞতায় লোকেদেরকে আল্লাহ্র পথ হতে বিচ্যুত করার জন্য অসাড় বাক্য বেছে নেয় এবং আল্লাহ্র প্রদর্শিত পথ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। ওদেরই জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।” (সূরা লুকমান ৬ আয়াত)
ইবনে মাসঊদ (রাঃ) উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘সেই আল্লাহ্র কসম যিনি ছাড়া কেউ সত্য উপাস্য নেই! নিশ্চয় তা (অসার বাক্য) হচ্ছে গান।’ সাহাবাগণের ব্যাখ্যা (তফসীর) এক প্রকার দলীল। তফসীরের তৃতীয় পর্যায়ে এর মান রয়েছে। যেহেতু তফসীরের তিনটি পর্যায়; কুরআনের তাফসীর কুরআন দ্বারা, কুরআনের তাফসীর সুন্নাহ দ্বারা এবং কুরআনের তাফসীর সাহাবাগণের উক্তি দ্বারা। এমনকি কিছু উলামার সিদ্ধান্ত এই যে, সাহাবীর তাফসীর রাসূল ﷺ এর তফসীরের পর্যায়ভুক্ত। কিন্তু শুদ্ধ অভিমত এই যে, তা রাসুল ﷺ এর তাফসীরের পর্যায়ভুক্ত নয়। অবশ্য তা বিভিন্ন উক্তিসমূহের মধ্যে সঠিকতার অধিকতর নিকটবর্তী।
ইসলামে গান-বাজনা হারাম, কারণ এটি মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করে।
আল্লাহ বলেন: “মানুষের মধ্যে কেউ কেউ এমনও রয়েছে যারা অসার বাক্য বেছে নিয়ে আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিচ্যুত করে।” (সূরা লুকমান ৩১:৬)
ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন: “আল্লাহর কসম! ঐ অসার বাক্য মানে হলো গান।”




















0 Comments