Visit Youtube Visit Our Youtube Channel!
Latest Post:👉
Loading......Wait...... Please..........

জমির দলিলে ভুল হলে সঠিক কী করণীয়? দাতা রাজি না হলে ভুল সংশোধনের উপায়।

জমির দলিলে ভুল হলে সঠিক কী করণীয়? দাতা রাজি না হলে ভুল সংশোধনের উপায়।
✅দলিল সংশোধন করার নিয়ম- দলিল রেজিস্ট্রি হওয়ার পর কি ভুল সংশোধন করা যায়?

সূচীপত্রঃ (Index)⤵

✅ জমির দলিলে দাগ, খতিয়ান, মৌজা, চৌহদ্দি নামের ভুল যেভাবে সংশোধন করবেন !


জমির দলিলে  ভুল হলে সঠিক কী করণীয়? দাতা রাজি না হলে দলিলের ভুল সংশোধনের উপায়।
Web Tech Info admin logo Web Tech info Bangla- একটি প্রযুক্তি ওয়েবসাইট |

জমির দলিলে ভুল সংশোধন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, এবং অনেক নাগরিক মনে করেন যে একবার জমির দলিল ভুল হলে তা আর সংশোধন করা যায় না, যা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আসলে, জমির দলিলে যদি কোনো ভুল হয়, তবে সেটি সংশোধন করা সম্ভব।

চলুন, জেনে নেওয়া যাক কিভাবে এই ভুল সংশোধন করা যায়।

✅ জমির দলিলে ভুল সংশোধনের প্রক্রিয়া

১.দলিলের ভুল সংশোধন (দাগ, খতিয়ান, মৌজা, চৌহদ্দি বা নামের বানান)

যদি দলিল রেজিস্ট্রির পর দাগ, খতিয়ান, মৌজা, চৌহদ্দি বা নামের বানানে ভুল পাওয়া যায়, তাহলে ৩ বছরের মধ্যে দেওয়ানি আদালতে দলিল সংশোধন মামলা করতে হবে। ৩ বছরের পর এই ধরনের মামলা তামাদির কারণে বারিত হয়ে যায়।

এর পর সংশোধন করা সম্ভব হয় না, তবে তখন ঘোষণামূলক মামলা করা যেতে পারে।

এই মামলার রায়ই সংশোধন দলিল হিসেবে গণ্য হবে। আদালতের দেওয়া রায়ের একটি সার্টিফাইড কপি সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্টারের কাছে পাঠানো হলে, সাব-রেজিস্টার সেই রায়ের আলোকে সংশোধিত দলিলটি সংশোধন করবেন।

এই প্রক্রিয়ায় নতুন করে কোনো দলিল করতে হয় না। (সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ৩১ ধারা)

– দলিল সংশোধনঃ
যদি কোনো দলিলে ভুল থাকে, তবে সাধারণত সেটি সংশোধন করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা, যেমন ৩ বছর, নির্ধারিত থাকে।

এই ৩ বছরের মধ্যে সংশোধন মামলা করতে হবে। এর পরে তামাদি বা সময়সীমা শেষ হয়ে যায়, এবং সংশোধন মামলার সুযোগ থাকে না।

a Rectification deed is an important legal instrument that gives buyers and sellers the scope to correct mistakes in documents like sale deeds and title deeds
Web Tech Info! 👉

© জমি-জমা Rectification Deed টিপস





২. সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক ছোট ভুল সংশোধন

যদি দলিলের ছোট-খাটো ভুল, যেমন দাগ, খতিয়ান, বা নামের বানান ভুল হয়, এবং এই ভুল সংশোধন করলে জমির মালিকানা বা কাঠামোয় কোনো পরিবর্তন আসবে না, তাহলে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার কাছে আবেদন করা যাবে। সাব-রেজিস্ট্রার এই ধরনের ছোট ভুল সংশোধন করতে পারেন। তবে, এই ক্ষেত্রে নতুন দলিল করার প্রয়োজন হয় না, শুধুমাত্র সংশোধন করা হয়।


– ঘোষণামূলক মামলাঃ

”যদি ৩ বছরের মধ্যে সংশোধন মামলা করা সম্ভব না হয়, তবে ঘোষণামূলক মামলা দায়ের করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে আদালত ভুলের বিষয়ে সঠিক রায় প্রদান করতে পারে, যা সংশোধনের মূল দলিল হিসেবে কাজ করবে।“



৪. দলিলে ভুল হলে কীভাবে মোকাবিলা করবেন:

যদি কোনো ভুল থাকে, তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধনের জন্য দ্বিতীয় পক্ষ এবং দলিল লেখক সঙ্গে যোগাযোগ করুন।


৫. দলিল লেখকের গুরুত্ব:

দলিল লেখক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সঠিকভাবে দলিল লেখার জন্য দক্ষ এবং অভিজ্ঞ দলিল লেখক নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি। দলিল লেখক যেন ভূমি অফিসে নিবন্ধিত এবং অনুমোদিত হন, তা নিশ্চিত করতে হবে। সঠিক দলিল লেখক নির্বাচনের মাধ্যমে ভুলের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।



জমি ক্রয়ের পূর্বে বা দলিল লেখার সময় ক্রেতাকে যেসব বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবেঃ

যদি দলিলের সরকারি নমুনা অনুসরণ করে দলিল তৈরি করা হয়, তবে ভুলের সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। এছাড়া, দলিলটি প্রুফ রিডিংয়ের জন্য একাধিকজনের কাছে পাঠানো হলে বড় ধরনের ভুলত্রুটি থাকে না। দক্ষ ও অভিজ্ঞ দলিল লেখক নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, নিশ্চিত হয়ে নিন যে, যিনি আপনার দলিলটি লিখছেন, তিনি কি আপনার জমির দলিল লেখক তালিকাভুক্ত কিনা।

  • 👉 দলিলের শিরোনাম, সাফ কবলা, বায়নাপত্র ইত্যাদি সঠিকভাবে যাচাই করুন।

  • 👉 জমির বিক্রয় মূল্য, জমির পরিমাণ, পক্ষ পরিচয়, এবং জমির মালিকানার বর্ণনা সঠিকভাবে উল্লেখ করুন।

  • 👉 পূর্ববর্তী দলিলের নম্বর এবং খতিয়ানের সঠিক তথ্য জেনে নিন।

  • 👉 মৌজা, দাগ নম্বর, খতিয়ানের নাম, জমির শ্রেণী ইত্যাদি সঠিকভাবে উল্লেখ করুন।

  • 👉 দলিল সম্পাদনকারী বা জমি দাতা (বিক্রেতা) সাবালক এবং সুস্থ মস্তিষ্কে আছেন কিনা তা যাচাই করুন।

  • 👉 পুরানো দলিল এবং নতুন দলিলের পার্থক্য সঠিকভাবে যাচাই করুন, যেমন শিরোনাম, সাফ কবলা, বায়নাপত্র ইত্যাদি।

  • 👉 জমির পরিমাণ, বিক্রয় মূল্য, এবং পক্ষ পরিচয় সঠিকভাবে উল্লেখ করুন।

  • 👉 জমির ক্রেতাকে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে তা হলো বিভিন্ন জরিপের দাগ নম্বর ও খতিয়ান নম্বর,যাতে দলিল লেখকের মাধ্যমে সঠিকভাবে লিখানো হয়।

    এজন্য জমির ক্রেতাকে জমি ক্রয় করার পূর্বেই তহসিল অফিস হতে জমির সঠিক দাগ নম্বর ও খতিয়ান নম্বর জেনে নিতে হবে।

    অর্থাৎ যে জমিটি বিক্রয় হচ্ছে, তার মৌজা, দাগ নম্বর, খতিয়ানের নম্বর এবং জমির শ্রেণী (যেমন ভিটা, দলা, ডাঙ্গা, জলাভূমি) সঠিকভাবে উল্লেখ করুন।

  • 👉 জমির চৌহদ্দি ঠিকমত উল্লেখ করুন, যেমন উত্তরে, দক্ষিণে, পূর্বে, পশ্চিমে জমির পরিসীমা এবং মালিকের নাম উল্লেখ করুন।

  • 👉 ক্রেতা যে জমিটি কিনতে যাচ্ছেন সেই প্রস্তাবিত জমিটির পরিমাণ বিক্রয় মূল্য (বায়না দলিল হলে বায়নায় পরিশোধিত টাকা এবং বাকী টাকা) পক্ষ পরিচয় তথ্য (১) দলিল গ্রহীতা (২) দলিল দাতা অথবা (ক) প্রথম পক্ষ (খ) দ্বিতীয় পক্ষ উভয় পক্ষের পূর্ণ নাম, ঠিকানা, পেশা, ধর্ম ইত্যাদি

    স্বত্ত্বের বর্ণনা: জমি দাতার মালিকানার ভিত্তি, দলিল মূলে হলে পূর্বের দলিলের নম্বর ও তারিখ পর্চা/খতিয়ান ইত্যাদি ৷

  • 👉 জমি বিক্রেতা বা দলিল দাতা দলিলের ১ম পৃষ্ঠার উপরের ডান পাশ্বের নীচ থেকে উপরের দিকে তার নিজ নাম স্বাক্ষর করবেন অথবা নিরক্ষর হলে নিজ নামের উপরে টিপ সহি প্রদান করেছেন কিনা তা দেখতে হবে। এছাড়াও জমি বিক্রেতা বা দাতা দলিলের শেষ পৃষ্ঠার নীচে স্বাক্ষর বা টিপ সহি করবেন। তবে দলিলের প্রতি পৃষ্ঠায় দাতার স্বাক্ষর বা টিপ সহি দিলে ভালো হয়।

  • 👉 জমির বিক্রেতা দলিলের শেষ পৃষ্ঠার নীচে যে জায়গায় তার নিজ নাম স্বাক্ষর বা টিপ সহি করেছেন ঠিক তার নীচে উক্ত দলিলটির লেখক তার নাম স্বাক্ষর করবেন; এরপর কমপক্ষে ২ জন সাক্ষী এবং অপর একজন জমির বিক্রেতাকে সনাক্ত করে সনাক্তকারী হিসাবে স্বাক্ষর করবেন।

  • 👉 দলিলে যতদূর সম্ভব কাটাকাটি, ঘষামাঝা, অষ্পষ্টতা এড়াতে হবে তবুও যদি কোনরূপ ভুল ক্রটি ঘষামাঝা কাটাকাটি হয়েও যায় তাহলে সেক্ষেত্রে উক্ত কাটাকাটি বা ঘষামাঝা যুক্ত লাইন ও শব্দের ক্রম উল্লেখ করে দলিলের শেষাংশে কৈফিয়ত লিখে দলিল লেখককে তার নীচে স্বাক্ষর করতে হবে।

– রায়ের সার্টিফাইড কপিঃ

” আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায়ের একটি সার্টিফাইড কপি সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো হলে, সাব-রেজিস্ট্রার উক্ত রায়ের ভিত্তিতে সংশোধিত দলিল রেজিস্ট্রি করবেন। এখানে নতুন কোনো দলিল তৈরির প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র আদালতের রায়ের মাধ্যমে সংশোধন কাজ সম্পন্ন হবে। “



📢 দলিল চৌহদ্দি কি?

চৌহদ্দি হলো একটি জমির অবস্থান অনুযায়ী, সেই জমির চারপাশে অন্যান্য মালিকবর্গ, স্থাপনা, প্লট, ইমারত ইত্যাদি চিহ্নিতকরণ এবং সীমানা নির্ধারণ। এটি জমির সঠিক সীমানা এবং অবস্থান নির্ধারণে সহায়ক, যা জমির বৈধতা এবং মালিকানা প্রতিষ্ঠার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

📢 দলিলে খতিয়ান ভুল হলে কী করণীয়?

যদি দলিল রেজিস্ট্রির পর তাতে দাগ, খতিয়ান বা নামের মতো ছোট-খাটো কোনো ভুল ধরা পড়ে, এবং সেই ভুল সংশোধন করলে দলিলের মূল কাঠামো বা স্বত্বে কোনো পরিবর্তন না ঘটে, তবে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করা যেতে পারে। সাব-রেজিস্ট্রার এই ধরনের ছোট ভুলগুলো সংশোধন করতে পারবেন, যাতে দলিলটি সঠিক এবং সম্পূর্ণ আইনি রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়।



– রেকর্ড সংশোধন মামলা কোথায় করতে হবে?

” যদি জমির রেকর্ডে কোনো ভুল বা বিভ্রান্তি থাকে, তবে সংশোধন মামলার জন্য আপনাকে সংশ্লিষ্ট দেওয়ানি আদালত বা এলাকা ভিত্তিক রেকর্ড সংশোধন আদালতে আবেদন করতে হবে।

এই ধরনের মামলার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা রেজিস্ট্রার অফিস বা সাব-রেজিস্ট্রারের অফিসেও আবেদন করা যেতে পারে, যেখানে জমির রেকর্ড সংশোধন করা হয়। সংশোধন প্রক্রিয়া চলাকালে, জমির সঠিক মালিকানা এবং সীমানা প্রতিষ্ঠিত হয়। “



ভ্রম সংশোধন দলিল কি?


ভ্রম সংশোধন দলিল হলো একটি দলিল যা মূল দলিলে বা রেকর্ডে থাকা ভুল বা ভ্রম সংশোধন করতে ব্যবহৃত হয়। যখন কোনো দলিলে নাম, সংখ্যা, জায়গার সীমানা, খতিয়ান বা অন্যান্য তথ্যের ভুল থাকে, তখন সেই ভুল সংশোধন করতে এই ধরনের দলিল তৈরি করা হয়। এই ধরনের দলিলের মাধ্যমে মূল দলিলের ভুল সংশোধন করা হয়, যাতে জমির সঠিক মালিকানা এবং সীমানা প্রতিষ্ঠিত থাকে।

ভ্রম সংশোধন দলিল সাধারণত আদালতের মাধ্যমে বা সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে অনুমোদনের জন্য জমা দেওয়া হয়। সংশোধিত দলিলটি পরে রেজিস্ট্রি বা খতিয়ানে আপডেট করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে কোনো আইনি জটিলতা না হয়।

ভ্রম সংশোধন দলিল

রম সংশোধন দলিল হলো একটি দলিল যা মূল দলিলে বা রেকর্ডে থাকা ভুল বা ভ্রম সংশোধন করতে ব্যবহৃত হয়। যখন কোনো দলিলে নাম, সংখ্যা, জায়গার সীমানা, খতিয়ান বা অন্যান্য তথ্যের ভুল থাকে, তখন সেই ভুল সংশোধন করতে এই ধরনের দলিল তৈরি করা হয়। এই ধরনের দলিলের মাধ্যমে মূল দলিলের ভুল সংশোধন করা হয়, যাতে জমির সঠিক মালিকানা এবং সীমানা প্রতিষ্ঠিত থাকে।

ভ্রম সংশোধন দলিল সাধারণত আদালতের মাধ্যমে বা সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে অনুমোদনের জন্য জমা দেওয়া হয়। সংশোধিত দলিলটি পরে রেজিস্ট্রি বা খতিয়ানে আপডেট করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে কোনো আইনি জটিলতা না হয়।

ভ্রম সংশোধন দলিল হলো একটি আইনি দলিল যা মূল দলিলে বা রেকর্ডে থাকা ভুল বা ভ্রম সংশোধন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যখন কোনো দলিল বা রেকর্ডে নাম, খতিয়ান, সীমানা, পরিমাণ, বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভুল থাকে, তখন তা সংশোধন করতে এই ধরনের দলিল তৈরি করা হয়।

ভ্রম সংশোধন দলিলের ব্যবহার

এটি সাধারণত নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলিতে ব্যবহার করা হয়:

  • সীমানা সংশোধন: জমির সীমানা ভুল থাকলে তা সংশোধন করা।
  • নাম বা খতিয়ানের ভুল: মালিকের নাম বা খতিয়ানে ভুল থাকলে তা সংশোধন করা।
  • জমির পরিমাণ সংশোধন: জমির পরিমাণে ভুল থাকলে সেটি সংশোধন করা।

ভ্রম সংশোধন দলিলের প্রক্রিয়া

ভ্রম সংশোধন করতে নিম্নলিখিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:

  1. সংশোধন প্রস্তাবিত দলিলটি আদালত বা সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দেওয়া হয়।
  2. সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য এবং প্রমাণাদি প্রদান করা হয়।
  3. সংশোধন হলে সংশ্লিষ্ট দলিল বা রেকর্ড আপডেট করা হয়।

উপসংহার

ভ্রম সংশোধন দলিল জমির সঠিক মালিকানা ও সীমানা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এবং এটি মূল দলিলের কাঠামো বা মালিকানায় কোনো পরিবর্তন না এনে শুধুমাত্র ভুল সংশোধন করতে সাহায্য করে।

দলিল রেজিস্ট্রির পর তাতে দাগ, খতিয়ান, মৌজা, চৌহদ্দি বা নামের বড় ধরনের কোন ভুল ৩ বছরের মধ্যে ধরা পড়লে তা খুব সহজেই ভ্রম সংশোধন করা যায়।
Web Tech Info! 👉

ভ্রম সংশোধন দলিল নমুনা ফরম


ভ্রম সংশোধন দলিল নমুনা ফরম

নিবন্ধন আইন, ১৯০৮ এর ধারা ২২ক(৩) এর অধীনে সম্পত্তি হস্তান্তর বা সংশোধনের দলিলগুলি সংশোধনের জন্য নমুনা ফর্ম দেওয়া থাকে। আপনি এই ফর্মগুলি ডাউনলোড করে নিজে নিজে দলিল প্রস্তুত করতে পারেন। তবে, এই প্রক্রিয়ায় সঠিক আইনি সহায়তা ও নিয়ম-নীতি মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভুল দলিল বা আইনি ভুল প্রক্রিয়া আপনাকে ভবিষ্যতে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

বাংলাদেশে আইনগত দলিলের নমুনা ফর্মগুলি সাধারণত জেলা নিবন্ধন অফিস বা অনলাইন নিবন্ধন সিস্টেম এর মাধ্যমে পাওয়া যেতে পারে। আপনি বাংলাদেশ সরকারের নিবন্ধন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় দলিলের ফর্মগুলি দেখতে এবং ডাউনলোড করতে পারেন। এছাড়া, নিবন্ধন অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করে ফর্মটি সংগ্রহ করারও সুযোগ রয়েছে।

যদি ৩ বছরের মধ্যে সংশোধন মামলা করা সম্ভব না হয়, তবে ঘোষণামূলক মামলা দায়ের করা যেতে পারে।

এর মাধ্যমে আদালত ভুলের বিষয়ে সঠিক রায় প্রদান করতে পারে, যা সংশোধনের মূল দলিল হিসেবে কাজ করবে।
Web Tech Info! 👉

© জমি-জমা Rectification Deed টিপস



সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক দলিলের ভুল বা ভ্রম সংশোধন এর নিয়ম কি?


১. সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক ভুল সংশোধন

যখন কোনো দলিল (যেমন: রেজিস্ট্রেশন করা দলিল) রেজিস্ট্রেশন করার সময় ভুল হয়, তখন তা সংশোধন করার জন্য সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক একটি সংশোধন করা হতে পারে। এটি সাধারাণত কিছু কারণে ঘটে, যেমন:

  • নামের বানান ভুল
  • ঠিকানা বা অন্য কোনো তথ্য ভুল লেখা
  • দস্তাবেজে কোনো তথ্য বা সংখ্যা ভুলভাবে লিখিত

সাব-রেজিস্ট্রার এই ভুল সংশোধন করতে পারে যদি উক্ত ভুলটি প্রমাণিত হয়। এটি সাধারণত একটি প্রশাসনিক প্রক্রিয়া এবং সংশোধিত দলিলের পুনঃরেজিস্ট্রেশন হতে পারে।

২. ভুল সংশোধন দলিল (Correction Deed)

যখন কোনো দলিলের মধ্যে ভুল থাকে এবং সেই ভুল সংশোধন করা প্রয়োজন, তখন সংশোধনের জন্য একটি "ভুল সংশোধন দলিল" তৈরি করা হয়। এটি একটি লিখিত দলিল যা সংশোধিত তথ্যগুলিকে সঠিকভাবে প্রতিস্থাপন করে। এই দলিলের মাধ্যমে মূল দলিলের ভুল সংশোধন করা হয়।

ভুল সংশোধন দলিলের জন্য সাধারণ প্রক্রিয়া:

  1. দলিলের বিশ্লেষণ: প্রথমে ভুলের ধরন এবং কারণ নির্ধারণ করা হয়।
  2. দলিল প্রস্তুতি: সংশোধনের জন্য একটি নতুন দলিল প্রস্তুত করা হয়।
  3. দলিলের সাক্ষর: সংশোধন দলিলে সংশ্লিষ্ট পক্ষদের স্বাক্ষর নেয়া হয়।
  4. নথিভুক্তকরণ: সংশোধন দলিলটি রেজিস্ট্রারের নথিতে সঠিকভাবে রেজিস্টার করা হয়।

৩. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

ভুল সংশোধন দলিলের জন্য কিছু সাধারণ কাগজপত্র হতে পারে:

  • সংশোধিত দলিলের একটি কপি
  • সংশোধন করা তথ্যের প্রমাণ (যেমন, আধিকারিক পরিচয়পত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আদি রেজিস্ট্রেশন দলিল)
  • সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে সংশোধনের জন্য আবেদন

এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সংশোধিত দলিলটি সঠিক তথ্য সহ পুনরায় রেজিস্টার করা হবে।

উপসংহার:

ভুল সংশোধন দলিল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা রেজিস্ট্রেশন বা দলিলের সঠিকতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। তবে, এটি করার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনগত প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের যথাযথ প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

222222222222 22222222222222
Web Tech Info! 👉

দলিল সংশোধন ফি এবং ভ্রম সংশোধন দলিলের রেজিস্ট্রি খরচ:


1️⃣ রেজিস্ট্রেশন ফি: মাত্র ১০০ টাকা।

2️⃣ স্ট্যাম্প শুল্ক: ৩০০ টাকা প্রদান করতে হবে।

3️⃣ হলফনামা: ২০০ টাকার স্ট্যাম্পে হলফনামা প্রদান করতে হবে।

4️⃣ এন-ফি: বাংলা ভাষায় প্রতি ৩০০ (তিন শত) শব্দ বিশিষ্ট এক পৃষ্ঠা বা তার অংশবিশেষের জন্য ১৬ টাকা, এবং ইংরেজি ভাষায় প্রতি ৩০০ শব্দের জন্য ২৪ টাকা।

5️⃣ স্ট্যাম্প শুল্ক মওকুফের আবেদন: যদি স্ট্যাম্প শুল্ক মওকুফ করতে চান, তবে স্ট্যাম্প আইন, ১৮৯৯ এর ১৬ ধারা মোতাবেক ২০ টাকার কোর্টফি সহ আবেদন করতে হবে।

সাফ কবলা দলিল বাতিল করা যাবে কিনা?


সাফ কবলা দলিল হলো একটি দলিল যা সাধারণত সম্পত্তির ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কিত চুক্তি প্রতিষ্ঠা করতে ব্যবহৃত হয়। এটি দলিলের একটি প্রকার যা মৌখিক চুক্তির পরিবর্তে সম্পত্তির ট্রান্সফার বা মালিকানা হস্তান্তরের আইনি দলিল হিসেবে কাজ করে।

সাফ কবলা দলিল বাতিল করা যাবে কিনা? আইন কি বলে ?

সাফ কবলা দলিল যদি আইনি ভাবে বৈধ হয়, তবে সাধারণত এটি বাতিল করা সম্ভব নয়। তবে কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে এই দলিল বাতিল করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পরিস্থিতিগুলি হতে পারে:

  • দলিলের ত্রুটি বা ভুল: যদি সাফ কবলা দলিলে কোনো ধরনের ভুল, জালিয়াতি বা ত্রুটি (যেমন ভুল সীমানা, ভুল নাম বা মিথ্যা বিবরণ) থাকে, তবে এটি আদালতের মাধ্যমে বাতিল করা সম্ভব হতে পারে।
  • আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত: যদি বিক্রেতা বা ক্রেতা উভয় পক্ষ সম্মত হন যে দলিলটি বাতিল করা প্রয়োজন, এবং উভয়ের সম্মতির মাধ্যমে একটি নতুন চুক্তি তৈরি হয়, তবে এটি বাতিল করা যেতে পারে।
  • মিথ্যা বা জাল দলিল: যদি কোনো পক্ষ সাফ কবলা দলিলটি জাল বা মিথ্যা উপস্থাপন করে থাকে, তাহলে আদালতে মামলা দায়ের করে দলিলটি বাতিল করা সম্ভব।
  • দেনা-পাওনার কারণে দলিল বাতিল: যদি দলিলটি কোনো বিশেষ শর্ত বা চুক্তির ভিত্তিতে তৈরি হয়ে থাকে এবং ওই শর্তাবলী পূর্ণ না করা হয় (যেমন, অর্থের পরিমাণ না দেওয়া), তবে দলিল বাতিল করা যেতে পারে।

দলিল বাতিলে আদালতের ভূমিকা

যদি দলিল বাতিল করার জন্য আদালতে মামলা করা হয়, তবে আদালত সংশ্লিষ্ট সমস্ত তথ্য ও প্রমাণাদি পর্যালোচনা করবে এবং যদি দলিলটি বৈধ না হয় বা কোনো কারণে বাতিলযোগ্য হয়, তাহলে আদালত তার রায় দিতে পারে। তবে, সাফ কবলা দলিল বাতিল করার জন্য দৃঢ় প্রমাণ প্রয়োজন হয়।

উপসংহার

সম্পত্তি হস্তান্তরের বিভিন্ন দলিল যেমন, সাফ কবলা, দানপত্র, হেবার ঘোষণাপত্র, হেবাবিল এওয়াজ ইত্যাদি দলিল রেজিস্ট্রি অফিসে “… বাতিলকরণ দলিল” রেজিস্ট্রি করে বাতিল করা যায় না। আইনগত ও যৌক্তিক কারণে বাতিলের প্রয়োজন হলে আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করে বাতিলের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হয়। অর্থাৎ সাধারণত সাফ কবলা দলিল বাতিল করা যায় না, তবে যদি কোনো আইনি ত্রুটি বা জালিয়াতি থাকে, তাহলে আদালতে মামলা করে তা বাতিল করা সম্ভব।



FAQ ( Frequently Asked Questions ) প্রশ্নঃ উত্তরঃ :

🟢 উত্তর ▷
এসি ব্যবহার: একটানা এসি চালালে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হবে। গড়ে, একটি ১ টন এয়ার কন্ডিশনার ১ ঘন্টায় ৮০০ থেকে ১২০০ ওয়াট শক্তি খরচ করে। অর্থাৎ এটি প্রতি ঘণ্টায় ১ ইউনিট থেকে ১.৫ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করবে।


🟢 উত্তরঃ ▷✅ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এক টন সক্ষমতার একটি ইনভার্টার এসিতে মাসে বিদ্যুৎ বিল আসে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, যেখানে একই সক্ষমতার নন-ইনভার্টার এসিতে বিল আসতে পারে দেড় হাজার টাকার মতো। এক টনের বেশি সক্ষমতার এসিতে বিদ্যুৎ বিল আরও বেশি আসে।🔥😊


🟢 উত্তর ▷✅ জুলহক হোসাইন বলেন, ইনভার্টার প্রযুক্তির এসিতে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করা সম্ভব। এসির অন্যতম প্রধান অংশ হলো কম্প্রেসর। ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরের স্থায়িত্ব বেশি দিন থাকে।


🟢 উত্তরঃ ▷✅ একটি এসির টনেজ ক্ষমতা দেখায় যে এটি আপনার পছন্দসই তাপমাত্রায় কত দ্রুত একটি ঘর ঠান্ডা করতে পারে। একটি ১-টন নন-ইনভার্টার এসি সাধারণত প্রায় ১৫০০ ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, যেখানে ১-টন ইনভার্টার এসির বিদ্যুৎ খরচ গড়ে ৩০০ ওয়াটেরও কম।🚀😊







    "শিক্ষা ও জ্ঞান সেই আলো, যা যত ছড়িয়ে পড়ে, পৃথিবী তত আলোকিত হয়।"
(Education and knowledge are the lights that illuminate the world as they spread.)

✅ আশা করি,
এরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে আমাদের

"Web Tech Info ব্লগ সাইটটি"

Follow দিয়ে রাখুন অথবা হোম পেজটি বুকমার্ক করে রাখতে পারেন।

Admin Photo Admin পরিচিতি

জাকির হোসেন একজন প্রযুক্তি বিষয়ক ব্লগার, কনটেন্ট নির্মাতা ও ওয়েব ডেভেলপার। তিনি প্রযুক্তি, অনলাইন আয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা, ব্লগিং এবং এসইও বিষয়ক লেখা নিয়ে ZakirZone.com ব্লগ পরিচালনা করছেন ২০১৫ সাল থেকে।


  • সম্পাদক ও প্রকাশক: Web Tech Info এর পক্ষে Md Zakir Hossain
  • অভিজ্ঞতা: ১০+ বছর ব্লগিং ও ওয়েব ডেভেলপমেন্টে
  • লক্ষ্য: বাংলাভাষী পাঠকদের জন্য মানসম্মত প্রযুক্তিগত কনটেন্ট সরবরাহ করা

📧 যোগাযোগ: contact@zakirzone.com
🌐 ওয়েবসাইট: www.zakirzone.com


🎯 আমার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে 💚 নতুন কিছু শেখা এবং সেই জ্ঞান অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করা। আমি বিশ্বাস করি, শেখার কোনো শেষ নেই — আর তথ্য শেয়ার করার মাধ্যমে আমরা একে অপরের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারি।

আমার অভিজ্ঞতা ও আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে আমি ZakirZone.com ব্লগটিকে একটি তথ্যবহুল ও মানসম্মত প্ল্যাটফর্মে পরিণত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। এখানে আমি মূলত প্রযুক্তি, অনলাইন আয়, ব্লগিং, ডিজিটাল নিরাপত্তা, ফ্রিল্যান্সিং, এসইও এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক প্রাকটিক্যাল ও বাস্তবভিত্তিক গাইড, পরামর্শ ও টিপস প্রকাশ করে থাকি।

আমার লক্ষ্য শুধু লেখা নয়, বরং এমন কনটেন্ট তৈরি করা যা একজন সাধারণ ব্যবহারকারী থেকে শুরু করে নতুন ব্লগার বা প্রযুক্তি উৎসাহী ব্যক্তি কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে পারেন। তথ্যের সত্যতা, প্রয়োগযোগ্যতা এবং সহজবোধ্য উপস্থাপনাই আমার ব্লগের প্রধান বৈশিষ্ট্য।

"সহজ বাংলায় জ্ঞানের মাধ্যমে জীবনে পরিবর্তন আনুন 💡"

স্বত্ব ©️ Web Tech Info | সম্পাদক ও প্রকাশক: জাকির হোসেন | সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।

👉 Post a Comment 💬 এখানে লিখে আপনার মতামত দিতে পারেন, আমরা শুনতে আগ্রহী! ..... 📝

0 Comments